গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা জানা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী যদি আপনি
একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন। যদি হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল থেকে চেরি ফল
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
গর্ভাবস্থা একটি সংবেদনশীল সময় তাই এই সময় সকল কিছু খাওয়ার আগে তা ভেবেচিন্তে
খাওয়া উচিত। আর এই কারণে আমরা এই আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় চেরি ফল সম্পর্কে
বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে চলেছি।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে যে
গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়া যাবে কিনা। এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক বিশেষজ্ঞগণ বলেন
যে গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী এবং প্রয়োজনীয়। তাই আসুন এখন
আপনি জেনে নিন যে একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ব অবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার ফলে কি কি
উপকারিতা পেতে পারেন।
- পুষ্টি সমৃদ্ধি
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে
- হজম শক্তি বৃদ্ধিতে
- পটাশিয়াম ও তরল ভারসাম্য
- হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
- ঘুমের সমস্যা সমাধান
- শিশুর বিকাশে সহায়ক
- এনার্জি বৃদ্ধির জন্য
- মানসিক স্ট্রেস কমাতে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
- ত্বকের জন্য
পুষ্টি সমৃদ্ধি ঃ গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি পুষ্টির প্রয়োজন
হয় বিশেষত প্রসবের সময়। তাই গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়া জরুরী। কেননা চেরি
ফল ভিটামি্ন, খনিজ এবং ফাইবারের সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি,
পটাশিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সাইড রয়েছে যেগুলো মায়ের শরীরের রোগ ক্ষমতা
সাহায্য করে এবং শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ঃ গর্ভাবস্থায় একটি বড় সমস্যা দেখা
যায় তা হল গর্ভবতী মায়ের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। যার কারণে
গর্ভাবস্থায় একজন মাকে চেরি ফল খাওয়ানো উচিত। কেননা চেরি ফলে রয়েছে
উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি যা এমএমএস সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং শারীরিক
অসুস্থতা কে রুখে দেয়। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি
ব্যাকটেরিয়াল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রক্তস্বল্পতার রোধে ঃ গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের রক্তস্বল্পতা
বা অ্যানিমিয়া দেখা যায় যার জন্য আয়রন অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর চেরি
ফলের মধ্যে রয়েছে আয়রনের উপস্থিতি যা গর্ভবতী মায়ের রক্তস্বল্পতা কমাতে
সাহায্য করে এবং শিশুর রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ঃ চেরি ফলের মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায়
ফাইবার যা হজম ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য
এবং হজমের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। যার ফলে গর্ভবতী মাকে চেরি ফল খাওয়ানো
উচিত। ফাইবার অন্ত্রের গতি বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য
করে।
পটাশিয়াম ও তরল ভারসাম্য ঃ চেরি ফল পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ যা
শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের
শরীরের অতিরিক্ত তরল জমা করতে পারে ফলে পা ফোলা এবং অতিরিক্ত সোডিয়ামের
কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে চেরি ফল খাওয়ার ফলে শরীরের
অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দেয় এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ঃ চেরি ফলের অ্যান্থোসায়ানিন এবং
ফেনোলিক যৌগগুলি হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্ত সঞ্চালন
বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়ক হতে পারে যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত
বেশি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুমের সমস্যা সমাধান ঃ গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের ঘুমের সমস্যা
দেখা যায়। এতে করে অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই এই সময় একজন
গর্ভবতী মাকে চেরি ফল খাওয়ানো উচিত। কেননা চেরি ফলের মধ্যে মেলাটোনিন
নামক উপাদান থাকে যা ঘুমের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি গর্ভবতী মায়ের জন্য
ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
শিশুর বিকাশে সহায়তা ঃ চেরি ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি,
ফোলেট, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি শিশুর স্নায়ুতন্ত্র এবং ব্রেনের সঠিক
বিকাশের সাহায্য করে থাকে। এটি শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে
সহায়তা করে এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের গঠনকে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায়
একজন মাকে চেরি ফল খাওয়া না অত্যন্ত জরুরী।
এনার্জি বৃদ্ধির জন্য ঃ চেরি ফলের মধ্যে থাকা
প্রাকৃতিক চিনি বা শর্করা উপস্থিতি রয়েছে যা দ্রুত এনার্জি প্রদান করতে
সহায়তা করে থাকে। তাই এটি গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য
করে এবং সারাদিনের জন্য শক্তি বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
মানসিক স্ট্রেস কমাতে ঃ গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন হরমনের
পরিবর্তনের ফলে মানসিক চাপ বা মানসিক স্ট্রেস হতে পারে। তাই একজন গর্ভবতী
মাকে চেরি ফল খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরি কেননা চেরি ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং
ফ্ল্যাবনয়েডস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মায়ের মনে বল শক্তিশালী করতে
সহায়তা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঃ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের রক্তচাপ বা
যাকে ইংলিশে বলা হয় ব্লাড প্রেসার অনেক বেশি উঠানামা করতে দেখা যায়। যা
অত্যন্ত সমস্যার কারণ হতে পারে তাই একজন মাকে চেরি ফল খাওয়ানো উচিত। কেননা
চেরি ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
করে থাকে।
ত্বকের জন্য ঃ একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক বেশি ত্বকের ক্ষতি
হয়ে থাকে। যেমন শরীর উষ্ক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গর্ভবতী মাকে চেরি ফল খাওয়ার অত্যন্ত জরুরী
কেননা চেরি ফলে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উপস্থিতি। যা
ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী পুষ্টিকর উপাদান।
চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
চেরি ফল একটি উপকারী ফল যা দেখতে প্রধানত দুই রকম হয়ে থাকে। একটি হলো লাল এবং
অপরটি হল সবুজ তবে আরো কয়েকটি কালারের হতে পারে যেমন সাদা গোলাপি এরকম রঙের।আমরা
একটু আগে গর্ভাবস্থায় অনেক উপকারিতা জানলাম। তবে এখন আমরা জানবো যে সাধারণ
মানুষদের জন্য চেরি ফলের কোন উপকারিতা রয়েছে কিনা।
চেরি ফল অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি স্বাদের। তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই যে চেরি
ফল খাওয়ার ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে,
- চেরি ফল হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চেরি ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে যা হৃদরোগে ঝুঁকি কমায়।
-
চেরি ফলে থাকা এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান অস্টিও আর্থাইটস এর ব্যথা সহ
অন্যান্য বাপ ব্যথার অবসান করতে সাহায্য করে থাকে।
-
চেরি ফল খেলে অত্যন্ত ভালো ঘুম হয়। কেননা চেরি ফলে রয়েছে মেলাটোনিন নামক
পদার্থ যা ঘুমের মান উন্নত করে থাকে।
-
চেরি ফল খাওয়ার ফলে আমাদের হজমের শক্তিকে তুরান্বিত করে। কেননা চেরি ফলে
রয়েছে ফাইবারের পুষ্টিগুণ উপাদান। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফল আবার হজম শক্তি
নষ্ট করে দিতে পারে।
-
চেরি ফল ওজন কমাতে অনেক বেশি সহায়তা করে থাকে কেননা এখানে কম ক্যালরি রয়েছে
এবং উচ্চ ফাইবার রয়েছে। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আবার ওজন বাড়তেও পারে।
-
চেরি ফল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কেননা চেরি ফলে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টিগুণ উপাদান।
-
চেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লামেট্রি কোষের ক্ষতি
প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
-
চেরি ফল মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি খাওয়ার ফলে আমাদের স্নায়বিক
কার্যক্রমের সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
-
চেরি ফল খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ইমিউনি সিস্টেমকে সচল রাখে। সেই সাথে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- চেরি ফল খাওয়ার ফলে আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সেই সাথে রাত কানার মত সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে থাকে।
-
চেরি ফল আমাদের শরীরে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা রোধে কাজ করে থাকে। এতে
থাকা ফোলেট এবং আয়রন রক্ত উৎপাদনের সহায়তা করে থাকে।
চেরি ফলের পুষ্টিগুন
উপাদান | প্রতি ১০০ গ্রামে পরিমান |
---|---|
ক্যালোরি | ৫০ থেকে ৬৫ ক্যালোরি |
পানি | ৮১ থেকে ৮৪ গ্রাম |
প্রোটিন | ১ গ্রাম |
চর্বি | ০.৩ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ১২ গ্রাম |
ফাইবার | ১.৬ গ্রাম |
ভিটামিন সি | ১০ থেকে ১৫ মিগ্রা |
ভিটামিন এ | ৫০ আই ইউ |
ভিটামিন কে | ২.১ মিগ্রা |
ভিটামিন বি৬ | ০.৬ মিগ্রা |
ফলিক এসিড | ৩৫ মাইকোগ্রাম |
পটাসিয়াম | ২৫০ মিগ্রা |
ক্যালসিয়াম | ১৩ মিগ্রা |
ম্যাগনেসিয়াম | ১১ মিগ্রা |
ফসফরাস | ১৫ মিগ্রা |
আয়রন | ০.৩ মিগ্রা |
ফ্যাট | ০.১ গ্রাম |
চেরি ফল খাওয়ার অপকারিতা
চেরি ফল অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপকারী এ বিষয়গুলো আমরা এতক্ষন জানলাম। তবে এখন
জানার সময় এসেছে যে, চেরি ফল খাবার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে আমাদের। আমরা
জানি প্রত্যেক উপাদানেরই কিছু উপকারিতা এবং অপকারিতা থাকে। তাই কিছু
অপকারিতা এই চেরি ফলও রয়েছে।
তাহলে আসুন জেনে নিন যে চেরি ফল খাওয়ার ফলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে
পারে। চেরি ফলের অপকারিতা গুলো নিম্নেলিখিত,
- হজমের সমস্যা
- এলার্জি সমস্যা
- রক্তের গ্লুকোজ বাড়ানো
- ওজন বৃদ্ধি
- কিডনির সমস্যা
হজমের সমস্যা ঃ চেরি ফলে অনেক বেশি ফাইবার রয়েছে যা অতিরিক্ত
খেলে কিছু মানুষের হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি গ্যাস পেট ব্যথা বা
ডায়েরিয়ার কারণ হতে পারে। যেহেতু চেরি ফলে অনেক বেশি ফাইবার রয়েছে তাই এই ফল
অতিরিক্ত খাবার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এলার্জির সমস্যা : কিছু কিছু মানুষের জন্য এলার্জির লক্ষ্য হতে
পারে এই চেরি ফল। কেননা চেরি ফলে এমন কিছু এলার্জির প্রভাব রয়েছে যা আপনার
শরীরে দেখা দিলে চুলকানি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যদি আপনার অতিরিক্ত এলার্জির
সমস্যা থাকে তাহলে এই ফল থেকে একটু দূরে থাকাই উত্তম।
আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
রক্তের গ্লুকোজ বাড়ানো : চেরি ফলে প্রাকৃতিকভাবে অনেক বেশি শর্করা বা
সুগার রয়েছে। তাই চেরি ফল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের রক্তের শর্করা
বাড়তে পারে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য অতিরিক্ত চেরি ফল
খাওয়া অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ওজন বৃদ্ধি ঃ যদিও চেরি ফল একটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল তবে চেরি
ফল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি
গ্রহণ করতে পারে যার ফলে আপনি দীর্ঘ মেয়াদে মোটা বা আপনার ওজন বৃদ্ধি হতে
পারে।
কিডনির সমস্যা : চেরি ফলে অনেক বেশি পটাশিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে যা
কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত যাদের হালকা কিডনের সমস্যা রয়েছে বা
যারা ডায়ালাইসিসের জন্য চিকিৎসাধীন তাদের অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণ ক্ষতিকর
হতে পারে। তাই কিডনি রোগীদের চেরি ফল থেকে কিছুটা দূরে থাকায় উত্তম।
চেরি ফল খাওয়ার নিয়ম
চেরি ফল খাওয়ার তেমন কোন বিশেষ নিয়ম নেয়। তবে সাধারন কিছু নিয়ম মানলেই হবে।
চেরি ফল খাওয়ার কিছু সাধারণ নিয়ম হলো প্রথমে ফলটি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
যাতে এতে থাকা ধুলা বা কীটনাশক দূর হয়। এরপর চেরির ডাঁটা (স্টেম) সরিয়ে ফেলতে
হবে এবং খাওয়ার আগে বীজ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা বীজ গলায় আটকে যেতে
পারে।
আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
চেরি সাধারণত ঠান্ডা অবস্থায় খেতে ভালো লাগে তাই এটি ফ্রিজে রেখে কিছু সময় পর
বের করে খাওয়া উচিত। পরিমাণের কথা বললে, একদিনে ১০-১৫টি চেরি খাওয়া যথেষ্ট।
কারণ অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। যদি পাচনতন্ত্রের সমস্যা থাকে তবে
চেরি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। এছাড়াও চেরি একটি পুষ্টিকর ফল যাতে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাসিয়াম থাকে যা শরীরের জন্য
উপকারী।
চেরি ফলের দাম বাংলাদেশ
চেরি ফল অত্যন্ত সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় একটি ফল যা আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার
করে থাকে। এই ফলটি দু রকমের হয়ে থাকে একটি হলো লাল এবং অপরটি হল
সবুজ। এটি দেখতেও যতটা সুন্দর ঠিক খেতেও ততটাই সুস্বাদু আবার সেই সাথে এর
দামও অনেক বেশি হয়ে থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় চেরি ফল পাওয়া
যায়। আপনি যদি চেরি ফল খেতে ভালোবাসেন তাহলে আসুন এর দাম সম্পর্কে জেনে
রাখুন।
সবুজ চেরি ফল লাল চেরি ফলের চেয়ে কিছুটা দাম বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত
সবুজ চেরি ফলের প্রতি ১০০ গ্রামের দাম ১০০ টাকা করে। আবার আধা কেজি বা ৫০০
গ্রাম চেরি ফলের দাম ৫০০ টাকা হয়ে থাকে। সবুজ চেরি ফলের ১ কেজি দাম ১০০০
টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে লাল চেরি ফলের ৫০০ গ্রামের দাম ৭০০ টাকা
পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার ১ কেজি চেরি ফলের দাম ১৪০০ টাকা পর্যন্তও হয়ে থাকে।
চেরি ফল চেনার উপায়
চেরি ফল সাধারনত দুই রকম হয়ে থাকে। একটি হল সবুজ এবং অপরটি লাল চেরি ফল। তাহলে
আসুন এখন জেনে নেন চেরি ফল চেনার উপায় সম্পর্কে। নিম্নে কিছু চেরি ফল চেনার
উপায় দেওয়া হল।
- রঙ : চেরি ফল সাধারণত উজ্জ্বল লাল অথবা গাঢ় লাল বা সবুজ রঙের হয়ে থাকে। কিছু প্রজাতি গোলাপী বা সাদা রঙেও হতে পারে।
- আকার ও গঠন : চেরি ফল ছোট এবং গোলাকার আকারের হয়ে থাকে। তাদের মাপ প্রায় ১ থেকে ২ সেন্টিমিটার পরিমাণ হয়ে থাকে।
- চামড়া : চেরির চামড়া মসৃণ, চকচকে এবং এটি পাতলা। ফলটি তাজা, মিষ্টি দেখায় এবং এর উপর একটি মোমের মতো স্তর হয়।
- স্বাদ ঃ চেরি ফলের স্বাদ মিষ্টি এবং অনেক সময় হালকা টকও হতে পারে। এর মধ্যে তাজা এবং রসালো অনুভূতি রয়েছে।
আমাদের শেষ কথা : গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
সম্মানিত পাঠকগণ আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি যে গর্ভাবস্থায় চেরি
ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং আরো অন্যান্য সকল বিষয় নিয়ে। সাধারণত চেরি ফল
অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপকারী একটি ফল যা আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে।
তবে চেরি ফল উপকারী হলেও এর অত্যন্ত বেশি পরিমাণে খাওয়া কিছুটা ক্ষতির লক্ষণ
হতে পারে।একটু হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এই ফলের অতিরিক্ত মাত্রায়
ব্যবহারের ফলে।
আমরা এখানে যা যা আলোচনা করেছি যেমন গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং
অপকারিতা বিষয় নিয়ে। যা যা আলোচনা করা হয়েছে সে সকল বিষয় একজন বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের কাছে থেকে জেনে এবং নিজে গবেষণার মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরা
হয়েছে। আমরা আশা করছি যে আপনি যদি এই সকল তথ্যগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে
পারেন তাহলে আপনি উপকৃত হবেন।
ট্রাজেডি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url