ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ - কেন পালন হয়

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন আমাদের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন। কেননা এই ঈদে মিলাদুন্নবী আমরা মুসলিম হিসেবে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। যদিও এই দিনটি নিয়ে মতবাদ রয়েছে।
ঈদে-মিলাদুন্নবী-২০২৪-কত-তারিখ
তাছাড়াও আপনারা জানতে পারবেন যে ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত সম্পর্কে। আপনি যদি এই দিন সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে এই পোস্ট থেকে জেনে নিন। যাতে করে এই কবে তা এবং পালন করা কি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ সম্পর্কে আপনি কি জানেন না ? তাহলে কোন চিন্তার বিষয় নেই কারণ এই পোস্টে আমরা আপনাদের ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে চলেছি। এই ঈদে মিলাদুন্নবী দিনটি বা দিবস অনেক বড় উৎসবের দিন হয়ে থাকে ইসলাম ধর্মের কিছু গোষ্ঠীদের ভিতরে। সেই গোষ্ঠির নাম হলো সুন্নি গোষ্ঠী। তাহলে আসুন আপনিও যদি সেই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হন আর যদি এই দিন সম্পর্কে না জানেন তাহলে জেনে নেন।
সুন্নিদের মধ্যে এই দিন অনেক বড় উৎসবের হয়ে থাকে। তারা এই দিনটি অনেক আনন্দের সাথে পালন করে থাকে তবে ইসলামের অনেক মানুষ এটিকে পালন করেন না। যাক এই টপিক নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। এখন প্রশ্ন হলো ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ তাহলে আসুন এই দিন সম্পর্কে জানুন। আরবি মাসের ১২ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী এবং ইংরেজি মাসের ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ হবে।

ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত

ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত আপনি কি এখনো জানেন না। তাহলে আসুন জেনে নেন কারণ এই বিষয় জানা একজন মুসলিম হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রথমেই বললাম একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী যারা এই দিন বা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকে। আপনি একজন সুন্নি হন বা নাও হয়ে থাকেন অথবা দ্বিধা দ্বন্দে আছেন যে ঈদে মিলাদুন্নবী কি না জায়েজ নাকি জায়েজ না জানেন তাহলে এই পোস্ট থেকে জানুন।

প্রথমেই আমরা জানি যে বিদআত কাকে বলে ? আসলে বিদআত হলো ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী দিনের ভিতরে এমন কিছু তথ্য বা কার্যক্রম উদ্ভাবন করা বা ঢোকানো যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লামের যুগে এবং সাহাবী ও খলিফায়ে রাশেদিনের আমলে ছিল না যা পরবর্তীতে উদ্ভাবন করা হয়।
অর্থাৎ ইসলামে বা যিনি নবী রাসূলের নামে নতুন কোন এবাদত বা কার্যক্রম এবং কোন কথা পরবর্তীতে ঢোকানো হয়েছে কোন দলিল ছাড়াই।
ঈদে মিলাদুন্নবী কি বিদআত এই সম্পর্কে পূর্ণ আলোচনাতে যাওয়ার আগে আপনাদের সামনে একটি হাদিস বর্ণনা করা যাক। সেই হাদীসটি হল "নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে (দ্বীনের মাঝে) নতুন আবিষ্কার করা বিষয়গুলো। আর প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় হচ্ছে বিদআ’ত এবং প্রত্যেক বিদআত হচ্ছে পথভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক পথভ্রষ্টতার পরিণাম হচ্ছে জাহান্নাম।"

এখন আসি মূল বিষয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী হলো বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। এখন কথা কথা হচ্ছে এই দিন পালন করা যাবে কি না। আসুন কয়েকটি যুক্তিতে জেনে নেয়। ইসলামে বলা আছে কোন ব্যক্তির জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা জায়েজ নেই কারণ সেটি হল খ্রিস্টানদের বৈশিষ্ট্য বা আচার অনুষ্ঠান। এই সম্পর্কে বিশ্বনবী বলেন "

যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই অন্তর্ভুক্ত হবে"। সহীহুল জামে হা/৬০২৫

1. প্রথমত ঈদে মিলাদুন্নবী বা বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন পালন করা যাবে কিনা তার প্রথম যুক্তিটি হল যে কোন হাদিসে বা হাদিস গ্রন্থে বিশ্বনবী কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন তার কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। সকল ইতিহাসবিদ ব্যাখ্যা করেন যে রবিউল আউয়াল মাসেই বিশ্বনবীর জন্ম হয় কিন্তু তারা কখনো নির্দিষ্টভাবে বলতে পারে নাই যে ১২ই রবিউল আউয়াল মাসেই তার জন্ম হয়েছে।
বরং বিভিন্ন গ্রন্থে বা প্রায় সকল ইতিহাসবিদদের মতামত যে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লাম ৯ই রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করে। তাছাড়া আরো অনেকে বলে ৯, ১০, ১১ এবং১২ রবিউল আউয়াল মাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। যেখানে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম তারিখের নির্দিষ্ট তারিখ জানা নেই সেখানে কিভাবে আমরা ১২ই রবিউল আউয়াল বিশ্ব নবীর জন্মদিন পালন করে থাকি।

2. দ্বিতীয়ত বিশ্ব নবী সাঃ এর জামানায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লাম নিজে কোনদিন নিজের জন্মদিন বা অন্য কোন সাহাবীর জন্মদিন পালন করতে বলেন নাই বা নিজেও করেন নাই। তিনি যে নিজে নিজের বা অন্য কারো জন্মদিন পালন করেছে এর কোন জাল বা জরিফ হাদিসও নেই। হাদিস সবল বা দুর্বল দূরের কথা এখানে কোন হাদিসি খুঁজে পাওয়া যায় না যে বিশ্বনবী নিজে বা অন্য কারো জন্মদিন পালন করেছেন। যেখানে তিনি আমাদের উত্তম আদর্শের প্রতি যেখানে আমরা তারই অনুসরণ করে থাকি সেখানে তিনি নিজেই এই কাজ করেন নাই তাহলে আমরা সেই কাজ কিভাবে করতে পারি।

3. তৃতীয়ত বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লাম কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন তার সাহাবীগণ। এই সাহাবীগণ যে বিশ্বনবী জন্মদিন বা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করেছেন এর কোন জাল বা জরিফ হাদিস খুঁজে পাওয়া যায় না কোন হাদিস গ্রন্থে। সাহাবীগণ বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোচ্চ ভালোবেসেও যখন তারা ঈদে মিলাদুন্নবী বা বিশ্বনবীর জন্মদিন পালন করতেন না সেখানে আমরা কিভাবে কোন যুক্তির মাধ্যমে করতে পারি।
4. অনেক সুফি এবং সুন্নি আলেমগণ বলে থাকেন যে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার জন্য সহিহ দলিলের দরকার নেই সহিহ হৃদয়ের দরকার রয়েছে। এখানে তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন তার সাহাবীগণ। সেই সাহাবীগণ কোনদিন ঈদে মিলাদুন্নবী বা জন্মদিন পালন করেছেন এমন কোন কথা কোন হাদিস গ্রন্থে বা ইতিহাস গ্রন্থেও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে বিশ্বনবী সেই সাহাবীগনদের সহিহ বা বিশুদ্ধ হৃদয় ছিল না। আপনি কি তাদের চেয়েও সহিহ হৃদয়ওয়ালা ব্যক্তি।

5. আবার অনেক সুফি এবং সুন্নি ঘরনার আলেমগণ বা বিভিন্ন ব্যক্তি বলে থাকেন যে ঈদে মিলাদুন্নবী বাকি যে ইসলামের দুটি ঈদ রয়েছে যথা ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতর এই দুটি ঈদের চেয়েও উত্তম। তাদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে এই দুইটি ঈদ আমাদের কাছে আনন্দের। সেই কারণে আল্লাহ আমাদের এই দুটি ঈদে দুই রাকাত ফরজ নামাজ দিয়েছেন। তাহলে আল্লাহ তায়ালা এই দুইর। ইদে আনন্দের কারণে দুই রাকাত ফরজ নামাজ দিয়েছে তাহলে আপনাদের সেই ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনের নামাজ কখন পড়া হয়।

6. একদিন হিজরী সন চালু করার আলোচনার দিন একজন সাহাবী প্রস্তাব করেন যে হিজরি সন চালু করা হোক বিশ্বনবীর জন্মদিন এর দিন থেকে। তখন হযরত ওমর (রা) বলেন যে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওসাল্লাম বলেছেন ইসলামে কারো জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করার জায়েজ নেই এটি খ্রিস্টানদের রীতি বা আচার অনুষ্ঠান। সুতরাং এই কথা থেকেই বোঝা যায় যে ইসলামে কোন জন্মদিন বা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা জায়েজ নেই। তখন বিশ্বনবীর মদিনায় আগমনের তারিখ থেকে চালু করা হয় হিজরী সন।

7. এখন আপনারা বলবেন মানলাম ইসলামে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা জায়েজ নেই তাহলে কিভাবে এটি বিদআত এর রূপান্তরিত হলো। বিদাতিরা একে নাম দিয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবী যার মাধ্যমে তারা ইসলামে তিনটি ঈদের কথা বলে। আরও আলাদাভাবে একটি ঈদ ইসলামের ঢোকাতে চায়। যেখানে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দুটি ঈদের দিন দিয়েছেন সেখানে তারা আরেকটি ঈদ ঢোকানোর চেষ্টা করে। প্রথমে বিদআতের ব্যাখ্যা বা সংজ্ঞা অনুযায়ী এটি একটি বিদআতের অংশ।

বিশ্বনবী আরো বলেন প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী এবং প্রত্যেক গোমরাহীই জাহান্নামে যাবে।” (মুসলিম)। তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন যে বিদআত কত বড় একটি গুনাহ এবং পাপের কাজ। আমরা আশা করছি যে আপনি এই পোস্ট দেখার পর আপনি যদি ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকেন তাহলে আপনি তা বাদ দিয়ে তওবা করবেন। আসুন সঠিক ইসলাম এবং দ্বীনের পথে ফিরে আসুন। আল্লাহ তা'আলা আপনাকে যেন সঠিক দিনের পথে নিয়ে আসেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী কি ও কেন

ঈদে মিলাদুন্নবী কি ও কেন সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন ? ঈদে মিলাদুন্নবী হলো একটি জন্মদিন যা পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তির। যিনি এই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। আপনি যদি সেই ব্যাক্তি সম্পর্কে না জানেন তাহলে আমাদের এই পোস্ট থেকে জেনে নেন যে ঈদে মিলাদুন্নবী কি ও কেন
পালন করা হয়।
ঈদে-মিলাদুন্নবী-২০২৪-কত-তারিখ
আসলে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা ইতিহাস এবং পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানব যার নাম হযরত মুহাম্মদ সাঃ। তিনি ১২ই রবিউল আওয়াল ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। সাধারণত সুফি বা সুন্নিরা এই বিশ্বনবীর জন্মের দিনটাকে বা জন্ম দিবসকে ঈদে মিলাদুন্নবী নাম দিয়ে পালন করে থাকে। সেই দিনে তারা বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। তবে এই দিনটি পালন করা ইসলামে কোন বৈধতা নেই। কেননা কোন হাদিস গ্রন্থে বিশ্বনবীর সঠিক জন্ম তারিখ উল্লেখ নেই। তবে তিনি ১২ই রবিউল আওয়াল মৃত্যুবরণ করেন।
হক্কানী আলেমগণ এই দিন পালন করতে বাধা দিয়ে থাকেন কারণ ইসলামে কারো জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা জায়েজ নেই কারণ এইসব বিষয় জানতে আচার অনুষ্ঠান। সুফিরা বা সুন্নিরা এই দিনটি পালন করার মাধ্যমে অনেক বড় বিদআতের সৃষ্টি করে। সে সাথে তারা এই দিন পালন করে মুসলিম জাতির ঐক্যবদ্ধতা নষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে। তাহলে আসুন আপনার সচেতন হন এবং এই দিন থেকে বিরত থাকুন।

ঈদে মিলাদুন্নবীর ইতিহাস

খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি মিশরে প্রথম ঈদ-মিলাদুন্নবী উদযাপন শুরু হয়। ঐতিহাসিকরা এই সময়কে আব্বাসীয় খিলাফতের দুর্বলতার সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শিয়াদের প্ররোচনায় ৪র্থ শতাব্দীর হিজরার মাঝামাঝি সময়ে দুটি ঈদুল আযহা ছাড়া বাকি সব দিন উদযাপন শুরু হয়। মূলত, 352 খ্রিস্টাব্দে। বাগদাদের আব্বাসীয় খিলাফতের প্রধান প্রশাসক এবং রাজ্যের প্রধান প্রশাসক শিয়া শাসক মুইজ্জুদ দাওলা বানি বুয়াহির (963 CE), 10ই মহররম আশুরাকে 8ম মহরমের শোক দিবস হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন।

জিলহজ যেন ছুটির দিন। তার নির্দেশে এ দুই দিন সরকারি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হবে। যদিও শুধুমাত্র শিয়ারা এই দুটি দিবস উদযাপনে অংশ নেয়, তবে এটি একটি সামাজিক রূপ নেয়।কত বছর ধরে ঈদুল ফিতর পালিত হয় তা বিশ্লেষণ করে আরেকটি ঘটনা থেকে জানা যায় যে, শিয়ারাও ঈদ-উল-আযহা উদযাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। উবাইদ রাজবংশের রাফিজি ইসমাইলি শিয়ারা উত্তর আফ্রিকায় একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল।
358 হিজরিতে (969 খ্রিস্টাব্দ) আরব বর্ষে তারা মিশর জয় করে এবং এটিকে ফাতেমীয় রাজ্যের কেন্দ্রে পরিণত করে এবং দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মিশরে তাদের শাসন ও ক্ষমতা বজায় রাখে। মিশরে শিয়া ফাতিমি রাজবংশের অবসান ঘটে 567 খ্রিস্টাব্দে (1172 খ্রিস্টাব্দে) যখন গাজী সালাহ আল-দিন আইয়ুবিদ মিশরের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই দুই শতাব্দীর শাসনামলে, মিশরের ইসমাইলি শিয়া শাসকরা দুটি সরকারি ঈদের ছুটি এবং অন্যান্য বিভিন্ন দিন উদযাপন করত, যার বেশিরভাগই ছিল জন্মদিন।

তারা অত্যন্ত আনন্দ, উদযাপন এবং উত্তেজনার সাথে পাঁচটি জন্মদিন উদযাপন করে: 1) নবী মুহাম্মদ সা.-এর জন্মদিন, 2) আলীর জন্মদিন (রাদি আল্লাহু আনহু), 3) ফাতিমা (রাদি আল্লাহু আনহু) এর জন্মদিন, 4) হাসান (রাদি আল্লাহু আনহু) এর জন্মদিন। আনহু) এবং 5) হুসাইন (রাদিআল্লাহু) আনহুর জন্মদিন। উপরন্তু, তারা তাদের জীবিত খলিফার জন্মদিন এবং মিশরের খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রচলিত "মিলাদ" নামে অভিহিত যীশুর জন্মদিন এবং মিষ্টি ও উপহার বিতরণের মাধ্যমে উদযাপন করে।

লেখকের শেষ কথা ঃ ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ

সম্মানিত দ্বীনি ভাইয়েরা আমরা এখানে এতক্ষন আলোচনা করলাম ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ এবং আরো অন্যান্য সকল বিষয় নিয়ে। আমরা আশা করছি যে আপনারা এ সকল বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন। এবং আপনারা এ সকল বিষয় সম্পূর্ণভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন। আসলে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লাম আমাদের আদর্শ যাকে আমরা অনুসরণ করে থাকি। বা যাকে আমাদের অনুসরণ করা ফরজ। 

আর আমাদের আদর্শবান ব্যক্তি কোনদিন কারো বা নিজের জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেননি বা করার কথা বলেননি। তিনি বলতেন যে কোন ব্যক্তি কারো জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষকে পালন করা এটি খ্রিস্টানদের আচার অনুষ্ঠান বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই আমরা আশা করব যে আপনারা এ সকল বিদআতি বিষয় থেকে দূরে থাকার করবেন। বিশ্বনবী আরো বলেন যে আমার দ্বীনে বিদআত তৈরি করবে তারা গোমরাহ এবং যারা পালন করবে তারাও গোমরাহী।

সম্মানিত দ্বীনি ভাই আমরা এখানে যা যা আলোচনা করলাম যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ এবং আর অন্যান্য সকল বিষয়গুলো এই সকল বিষয়গুলি সম্পূর্ণ গবেষণা, পড়াশোনা এবং হক্কানী আলেমগণদের কাছ থেকে পরামর্শ এবং রেফারেন্স নিয়ে লেখা হয়েছে। তবু আপনি আপনার পছন্দমত একজন হক্কানী আলেম এর কাছ থেকে জেনে পালন করার চেষ্টা করবেন। কারণ আমরা চাই না আমাদের কারণে আপনাদের কোন ক্ষতি হোক। দিন শেষে আপনাদের উপকারিতায় আমাদের প্রাপ্তি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাজেডি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url