এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম - কোন কোন খাবারে রয়েছে

 
এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। কেননা আমাদের যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে আর আমরা যদি না জানি যে কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে এবং সেই খাবার যদি খায় তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
এলার্জি-জাতীয়-খাবারের-নাম
তাই আমদের যাদের এলার্জি রয়েছে আমাদের উচিত যে কোন কোন ডালে এলার্জি আছে সম্পর্কে জেনে থাকা। আমরা এই পোস্টে এগুলো বিষয় নিয়েই আলোচনা করব। তাছাড়াও আমরা এখানে জানতে চলেছি এলার্জি জাতীয় খাবার সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যা যা খুঁজে চলেছেন

এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা তাই আমরা এই অংশে এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম এই বিষয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করতে চলেছি। আমরা বাঙালিরা অত্যন্ত খাবার প্রিয় মানুষ। আমরা কোন কিছু পেলে কোন কিছু চিন্তা ভাবনা ছাড়াই খেয়ে থাকি। কিন্তু এটা চিন্তা করি না যে সেখানে এলার্জি আছে কি না। তাই আমরা এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

যেহেতু আমরা বাঙালিরা খাবার প্রিয় মানুষ তাই আমাদের খাবার খাওয়ার সাথে সাথে খাবারে কি কি উপাদান রয়েছে তা জানাও জরুরী। বিশেষ করে আমাদের যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা এইসব বিষয়ে আরো বেশি সচেতন থাকার চেষ্টা করব। বিশেষজ্ঞরা বলেন অনেক খাবারে এলার্জির কিছু কিছু প্রভাব দেখা যায়। সেই সব খাবার থেকে এলার্জি থাকা ব্যক্তিকে দূরে থাকতে বলা হয়।

তবে আরও বলেন একটি খাবারে এলার্জি প্রভাব আছে কিনা তা দেখতে ওই ব্যক্তির ওই খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া এটা বলা যাবে না যে ওই ব্যক্তির জন্য ওই নির্দিষ্ট খাবারের কোন এলার্জির আছে কিনা। কারণ খাবারে নয় ব্যক্তি এলার্জি রয়েছে এটা অনেকে বিশ্বাস করে থাকে। তবুও আমরা এখানে বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণিত কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করব।

ডিমঃ ডিমের স্বাদ সম্পর্কে তো আমরা অনেকেই জানি। আমরা অনেকেই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি। তবে এটা জানি না যে ডিমের মধ্যে এলার্জির প্রভাব রয়েছে। যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এই ডিম অনেক সমস্যা করতে পারে।

দুধঃ গরুর দুধ আমাদের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। কারণ দুধে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ উপাদান যা আমাদের দেহের বিভিন্ন অভাবকে পূরণ করে থাকেন। তবে এর পুষ্টিক উপাদানের সাথে আরেকটি উপাদান রয়েছে যা হলো এলার্জি প্রভাব। এই দুধেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এলার্জির প্রভাব।

চিনা বাদামঃ চিনা বাদাম অত্যন্ত স্বাদের একটি বাদাম। এর সাথে এটি অনেক উপকারী আমাদের জন্য। কারণ চিনা বাদামে রয়েছে প্রচুর কোন উপাদান যা আমাদের দেহের বিভিন্ন অভাবকে পূরণ করে থাকে। তবে এই বাদামেরও এলার্জি রয়েছে। এটিও খেলে আপনার অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।

যেমন এখানে আমরা আলোচনা করব কোন কোন ডালে এলার্জি আছে, কোন কোন মাসে এলার্জি আছে, কোন কোন মাসে এলার্জি আছে এবং কোন কোন ফলে এলার্জি রয়েছে আরো অনেক বিষয় নিয়ে এখানে আমরা আলোচনা করতে চলেছি। তাই আপনি উপকৃত হওয়ার জন্য এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কোন কোন ডালে এলার্জি আছে

কোন কোন ডালে এলার্জি আছে আমরা সেই বিষয় নিয়ে এই পর্যায়ে আলোচনা করতে চলেছি। কারণ আমাদের যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এই বিষয়ে সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। ডাল আমাদের জাতীয় খাবার এটি বলা যায়। কারণ আমরা বাঙালিরা তাদের সাথে ডাল না পাই তাহলে আমাদের খাবার মজাটাই জমে না। তাই এখন আমরা জানার চেষ্টা করব কোন কোন ডালে এলার্জি থাকে।

মসুরের ডালঃ মসুরের ডাল একটি অতীব পরিচিত একটি ডাল। কারণ গ্রামে বা শহরে এমন কোন ব্যক্তি নাই যে ব্যক্তি মসুর ডাল খায় না। আমরা বাঙালি যদি মসুর ডাল না চিনি তাহলে আমরা কেমন বাঙালি। কারণ আমরা খাওয়ার সময় ভাতের সাথে এই ডাল প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে এই ডালে প্রচুর পরিমাণ এলার্জি রয়েছে। তাই আমাদের যাদের এলার্জি রয়েছে আমরা সচেতন হয়ে এই ডাল খাব।

খেসারির ডালঃ আমরা বাঙালিরা খেসারির ডালও অনেক খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা এটি প্রতিনিয়ত খাওয়ার পরও আমরা জানি না যে এই ডালে এলার্জির প্রভাব রয়েছে। তবে এই ডালের এলার্জির পরিমাণ মসুর ডালের চেয়ে কিছুটা কম। তাই যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা একটু সচেতন হয়ে এই ডাল খাবেন।

মুগ ডালঃ মুগ ডাল সবাই খায় না। তবুও এটি অনেক জায়গায় অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় যেমন পিয়াজি বানাতে জুড়ি নেই। কিন্তু এই ডাল এত ব্যবহারের ফলেও আমরা এতোটুকু জানি না যে এই ডালেও এলার্জি প্রভাব রয়েছে। তবে এই ডালের এলার্জির পরিমাণ বেশ খানিকটাই কম।

তাহলে এতক্ষন আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম যা হলো কোন কোন ডালে এলার্জি রয়েছে। এই পর্যায়ে আমরা আলোচনা করতে চলেছি যে কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে।এই তথ্যগুলো আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে

কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে এটি আমাদের জানা খুবই জরুরী। কারণ আমরা সেই সকল সবজিকে প্রতিনিয়ত রান্না করে খাই কিন্তু এটি জানি না যে সে সবজি আমাদের ভেতরে ভেতরে কতটা ক্ষতি করছে। ক্ষতি বলতে আমি বুঝিয়েছি যাদের অ্যালার্জি রয়েছে। তাই আসুন পোস্টের এই পর্যায়ে আমরা জানি যে কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে।

মাশরুমঃ মাশরুম গ্রামে তেমন পরিচিত না হলেও এটি শহরের মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিত একটি সবজি। শহরের মানুষেরা প্রতিনিয়ত এটি রান্না করে খায় কিন্তু তারাও হয়তো জানে না যে এই সুস্বাদু সবজিতে এলার্জির প্রভাব রয়েছে। তাই আপনি এরপর থেকে এই সবজি খাওয়ার আগে সচেতন হয়ে খাবেন।
টমেটোঃ টমেটো একটি নিত্য দিনের সবজি যা মানুষ খেতে খুব পছন্দ করে থাকে। টমেটো যেমন কাঁচা খাওয়া যায় তেমন টমেটো পাকাও খাওয়া যায়। পাকা টমেটো খাওয়ার অনেক উপকারিতা ও রয়েছে। তবে মানুষ এই হালকা টক স্বাদের টমেটোর স্বাদ গ্রহণ করতে গিয়ে এটা জানে না যে এই গুরুত্বপূর্ণ সবজিতেও কিছুটা অ্যালার্জির প্রভাব রয়েছে। হ্যাঁ বন্ধুরা টমেটোতেও এলার্জি প্রভাব রয়েছে।

বেগুনঃ বেগম অতি পরিচিত একটি সবজি যাকে সকল শ্রেণীর মানুষ খুব পছন্দ করে থাকে। এটি যেমন তরকারির মধ্যে দিয়ে খাওয়া যায় তেমন বেগুনি করেও খাওয়া যায়। আর এটার তেলে ভাজা বেগুনির স্বাদ অসাধারন। তবে এই সবজির সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ও জানে যে এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণ এলার্জি রয়েছে। তবুও এটির স্বাদের কারণে মানুষ এটিকে প্রচুর খায়।
পেঁপেঃ পেঁপে এমন একটি সবজি যা কাঁচা এবং পাকা উভয়ই খাওয়া যায়। তবে কাঁচা পেঁপে তরকারির ভেতর দিয়ে এবং পাকা পেঁপে খালি খাওয়া যায়। পেঁপের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে মানুষ এই উপকারিতার মাঝে এর এলার্জির কথাটুকু জানে না। হ্যাঁ আসলেই পেঁপেতে এলার্জি প্রভাব রয়েছে। তাই পেঁপে খাওয়ার সময় আপনি একটু সচেতন হয়ে খাবেন।

ঢেঁড়সঃ ঢেঁড়স একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি সবজি। এই সবজি একটি পিচ্ছিল জাতীয় হলেও এর রয়েছে অনেক স্বাদ এবং উপকারিতা। তবে মানুষ এর স্বাদ এবং উপকারিতার মাঝে একটি কথা জানেনা তা হল এলার্জির সম্পর্কে। আসলে ঢেঁড়সেও অ্যালার্জি রয়েছে যদিও তা অল্পমাত্রায় রয়েছে। তবু আপনার যদি অ্যালার্জি থাকে তাহলে আপনি সচেতন হয়ে এই সবজি খাবেন।

কচুরঃ কচু আমরা শাক হিসেবেও খাই এবং সবজি হিসাবে খায়। কচুর অনেক পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে তাছাড় এটি অনেক স্বাদের হয়ে থাকে। এটি যেরকম স্বাদের সেরকম এটি সহজলোভ্য তাই এটি মানুষ অনেক খেয়ে থাকে। তবে সাধারণ মানুষ এটি জানে না যে কচুর মধ্যে এবং প্রচুর শাকে উভয়েই রয়েছে এলার্জির প্রচুর প্রভাব।

মিষ্টি কুমড়াঃ মিষ্টি কুমড়া একটি জনপ্রিয় এবং অনেক সুস্বাদু একটি সবজি। এটি হালকা মিষ্টি হয়ে থাকে সেই জন্য এটি খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এর যেমন স্বাদ রয়েছে তেমন উপকারিতাও কিন্তু রয়েছে। তবে এর এত গুণের মধ্যেও এলার্জির বিষয়টা মানুষ হয়তোবা জানে না। হ্যাঁ বন্ধুরা মিষ্টি কুমড়াতেও কিন্তু এলার্জি রয়েছে।

শিমঃ শিম গ্রামের মানুষের কাছে একটি অতি পরিচিত সবজি। তবে এটি কিন্তু শহরে মানুষরাও অনেক পছন্দ করে থাকে। যদিও এটি গ্রামে বেশি পাওয়া যায় এবং গ্রামের মানুষ এই সবজিকে আনাজ বলে ডাকে। সিমের স্বাদ হলো দুর্দান্ত। তবে এই স্বাদের মধ্যেও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কারণ শিমেও রয়েছে এলার্জির প্রভাব। তাই আপনি এই সবজিটি সচেতন হয়ে খাবেন।

আমরা এতক্ষন জানলাম যে এলার্জি জাতীয় সবজির মধ্যে বিশেষ কিছু সবজির না যাতে এলার্জি পরিমাণ বেশি থাকে এবং যা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি। তবে এর পরের পর্যায়ে আলোচনা করব কোন কোন শাকে এলার্জি আছে।

কোন কোন শাকে এলার্জি আছে

কোন কোন শাকে এলার্জি আছে এটি জানা আমাদের জন্য অতীব জরুরি একটি বিষয়। কেননা আমরা বাঙালিরা শাক অনেক পছন্দ করে থাকি। শাক আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। তবে এই শাকের মধ্যেও অনেক শাক আছে যে সাকে এলার্জি প্রভাব দেখা যায়। তাহলে আসুন আমরা এখন জানি কোন কোন শাকে এলার্জি আছে।
এলার্জি-জাতীয়-খাবার-কি-কি
পুঁইশাকঃ পুইশাক গ্রামাঞ্চলের অনেক জনপ্রিয় একটি শাক। অনেক সহজলভ্য বলে আমরা অনেকেই অনেক ভালবাসি। এই শাক একটু পিচ্ছিল জাতীয় হয়ে থাকে।আমরা এর স্বাদের ফাদে পড়ে এটা জানি না যে এই পুঁইশাকেও এলার্জি রয়েছে। তাই এই শাক খাওয়ার সময় একটু সচেতন হয়ে এই শাক খাবেন। 

কচু শাকঃ কচু শাক একটু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শাক। এই শাক বেশি দেখা যায় গ্রাম অঞ্চলে। তবে শহরের মানুষরাও কিন্তু এই শাক অনেক পছন্দ করে থাকে। এই শাকের যেরকম স্বাদ রয়েছে সেরকম আবার উপকারও রয়েছে। এই শাক আমাদের চোখের  দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। তবুও এত উপকারের মাঝে এই শাকে এলার্জির প্রভাব রয়েছে। এই শাকেও কিন্তু এলার্জি রয়েছে।

পাটের শাকঃ পাটের শাক অত্যন্ত স্বাদের একটি শাক। শুধুমাত্র এই শাকে যে শুধু স্বাদই আছে তা কিন্তু নয়। এই শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ উপকারী পুষ্টিগুণ উপাদান। তবে এর পুষ্টিগুণ উপাদানের সাথেও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এলার্জির প্রভাব। যা আমাদের দেহের এলার্জির পরিমাণকে বৃদ্ধি করে দেয়।
কুমড়ার শাকঃ কুমড়া যেমন সবজি হিসেবে খাওয়া হয় তেমনই এর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এর সবজির যে আমার স্বাদ রয়েছে তেমনি কুমড়া পাতারও প্রচুর স্বাদ রয়েছে। তবে এর স্বাদের মধ্যেও এর এলার্জির প্রভাবটা মানুষ জানে না। হ্যাঁ প্রিয় পাঠকগণ এই সুস্বাদু শাকেও রয়েছে এলার্জি।

পালংকের শাকঃ পালঙ্গের শাক গ্রাম অঞ্চলে এবং শহরের উভয়ে জায়গায় খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু শাক। এই শাকের উপকারিতা ও রয়েছে প্রচুর। মানুষ এই শাককে খুব বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকে। তবে মানুষ এটি জানে না যে এই শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এলার্জির অভাব রয়েছে। যা খেলে আপনার দেহের এলার্জি পরিমাণকে বৃদ্ধি করে দিতে পা্রে।

কোন কোন মাছে এলার্জি আছে

আমরা তো এতক্ষণ শাক এবং সবজি সম্পর্কে জানলাম কিন্তু আমরা বাঙালিরা বেশি মাছ খেয়ে থাকি। তাই আমাদের প্রশ্ন বেশি হয়ে থাকে যে কোন কোন মাছে এলার্জি আছে। আমরা বাঙালিরা মাছ ছাড়া ভাত খাই না। এই জন্য সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেশে মাসে যে ভিন্নতা দিয়েছে মনে করা হয় অন্য কোন দেশে এরকম দেয় নাই। তাহলে আসুন আমরা কোন কোন মাছে এলার্জি আছে তা এখন জানি।

পুটি মাছঃ পুটি মাছ সাইজে ছোট হয়ে থাকে। তবে পুঁটি মাছ সাইজে ছোট হলেও কিন্তু স্বাদে অন্যান্য মাছের চেয়ে অনেক বড়। শুধু স্বাদ নয় এর পুষ্টি্গুন উপাদনও কিন্তু রয়েছে। তবে মানুষ এটি জানে না যে এর এলার্জির প্রভাব রয়েছে। এই মাছ খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের এলার্জি প্রভাব বৃদ্ধি পায়।

ইলিশঃ আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হলো ইলিশ। বাঙ্গালিরা প্রচুর পরিমানে এই মাছ খেয়ে থাকে। কারণ এই মাছের স্বাদ অসাধারণ। তাছাড়াও এই মাছ আমাদের দেশে প্রচুর জন্মায়। এই মাছের দ্বারা আমাদের অর্থনীতিও সবল থাকে। কিন্তু এতো কিছু ভালো থাকার পরেও এখানে এলার্জির কথাটি মানুষ জানে না। হ্যাঁ পাঠকগন এই মাছেও এলার্জি রয়েছে।

চিংড়ি মাছঃ চিংড়ি যদিও মাছের মধ্যে পড়ে না এটি এক জাতীয় পোকা যা আর্থোপোডা পর্বের প্রাণী। তবুও এটি মাছ হিসেবেই ব্যবহার হয়ে থাকে। এই মাছ অনেক দামি হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশে সবচেয়ে হালদা নদীতে এই মাছ বেশি পাওয়া যায়। তবে এই মাছেও প্রচুর এলার্জির প্রভাব রয়েছে বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

শিং মাছঃ শিং মাছ কে গ্রাম অঞ্চলে কানোছ মাছ হিসেবেও ডাকা হয়। এই মাছে প্রচুর স্বাদ রয়েছে কিন্তু এই মাছেও এলার্জি রয়েছে বলে অভিহিত করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই মাছ খাওয়ার আগে সচেতন হয়ে খাবেন যদি আপনার এলার্জি থেকে থাকে।

রুই মাছঃ আমরা বাঙালিদের আরেকটি পছন্দের মাছ তা হলো রুই মাছ। এই মাছ অনেক স্বাদের এবং উপকারি হয়ে থাকে আমাদের জন্য। এই মাছ চাষ করে আমাদের দেশ ব্যপক অর্থনীতিতে উন্নতি করেছে। এই মাছ অনেক বড় আকৃতির হয়র থাকে। তবে এই মাছেরও এলার্জির প্রভাব রয়েছে। তবে অন্যান্য মাছের চেয়ে এটাতে কম রয়েছে।

চিতল মাছঃ চিতল মাছ অনেক খাল বিল এবং নদীতে বেশি পাওয়া যায়। এই মাছেটি অনেক কাটাযুক্ত এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে এই মাছে অনেক এলার্জির প্রভাব রয়েছে। তাই আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই মাছ সচেতন হয়ে খাবেন।
বোয়াল মাছঃ বোয়াল মাছ মিঠা পানির মাছ এবং এই মাছে রয়েছে প্রচুর  স্বাদ। এই মাছে তৈলের ভাব একটু বেশি থাকে। তবে এই মাছে আরো একটি জিনিস রয়েছে তা হলো এলার্জি। এই মাছেও রয়েছে প্রচুর পরিমানে এলার্জি।

সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছ বলতে যেগুলো মাছ শুধু সমুদেই পাওয়া যায় তাকে সামুদ্রিক মাছ বলে। সামুদ্রিক যত মাছ রয়েছে প্রায় প্রত্যেক মাছেই এলার্জির প্রভাব রয়েছে। যথা ম্যাকারেল, সাডরিন এবং স্যালমন ইত্যাদি। আরো অনেক সামুদ্রিক মাছ রয়েছে যেগুলা তে এর্লাজি থাকে।

কোন কোন ফলে এলার্জি আছে

কোন কোন ফলে এলার্জি আছে এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা আমাদের অসুখ বিসুখ এবং আত্মীয়তায় আমরা প্রচুর ফল ব্যবহার করে থাকি। আমরা হরেক রকমের ফল খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা জানি না যে কোন ফলে অ্যালার্জি রয়েছে আর কোন ফলে নেই। তাই আমরা এই পোষ্টের এই পর্যায়ে জানতে চলেছি কোন কোন ফলে এলার্জি  আছে। 
কোন-কোন-ফলে-এলার্জি-আছে
ড্রাগন ফলঃ ড্রাগন ফল দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি সাদা এবং অপরটি লাল। দুই ড্রাগন ফলই অনেক সুস্বাদু এবং উপকারী আমাদের জন্য। তবে এই ড্রাগন ফলও কিন্তু এলার্জির প্রভাব রয়েছে। আর এই এলার্জির প্রভাব অনেকটাই রয়েছে বলা যায়। আমরা এই ফল সুস্বাদু বলে অনেক খেয়ে থাকি কিন্তু এটা জানি না যে এখানে এলার্জির প্রভাব রয়েছে।

কলাঃ কলা একটু দুর্দান্ত সুস্বাদু এবং সহজলভ্য একটি ফল। এটি আমাদের গ্রামে গঞ্জে সকল জায়গায় পাওয়া যায়। তবে এটা শহরেও কিনতে পাওয়া যায়। কলা যেমন সুস্বাদু তেমন এর উপকারিতাও রয়েছে প্রচুর। কিন্তু এর স্বাদ এবং উপকারিতার মাঝে এর এলার্জির প্রভাবও রয়েছে। যা আমরা হয়তো সকলে জানিনা।

গাঁজরঃ গাঁজর একটি অত্যন্ত দুর্দান্ত উপকারী এবং সুস্বাদু ফল। এই ফল সবজি এবং ফল হিসেবে উভয়ই ব্যবহার করা যায়। তবে এই ফলের সুস্বাদে এবং উপকারিতার মাঝে আরেকটি কথা লুকিয়ে আছে। সে কথাটি হজরগাজরের রয়েছে এলার্জির প্রভাব।

আপেলঃ আপেল এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং উপকারী ফল। এই ফলটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল সেই কারণে এই ফলটা আমাদের অনেক উপকারে আসে। তবুও এই ফলের উপকার এবং তাদের মাঝে গোপন একটি কথা লুকিয়ে আছে। সেই কথাটি হল এই ফলেও রয়েছে এলার্জির অধিক প্রভাব।

আরো অনেক ফলে এলার্জি থাকতে পারে তবে আমাদের গবেষণায় প্রাপ্ত চারটি ফলে অধিক এলার্জি থাকে সেই ফলগুলি নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করলাম। আমরা মাংস প্রেমী মানুষ তাই এখন আমরা জানতে চলেছি কোন কোন মাংসে এলার্জির পরিমাণ রয়েছে।

কোন কোন মাংসে এলার্জি আছে

আমরা আগেই বললাম যে আমরা বাঙালিরা মাংস তুমি মানুষ। আমরা যে কোন রকম মাংস খেতে পছন্দ করে থাকি। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি যে মাংসকে পছন্দ করে থাকি সেগুলো হল গরুর মাংস, হাঁসের মাংস এবং খাসির মাংস। এখন আমরা জানবো যে এইসব মাংসতে এলার্জি রয়েছে কিনা।

গরুর মাংসঃ এমন কোন ব্যক্তি নেই যার পছন্দের মাংস এই গরুর মাংস নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও এই গরুর মাংসের অনেক বড় ভক্ত। তবে এটি মনে রাখা উচিত এটি লাল মাংস এই গরুর মাংস প্রচুর প্রভাব রয়েছে। তাছাড়াও এই গরুর মাংস আমাদের অনেক উপকারে পাশাপাশি কিছু ক্ষতিও করে থাকে। তবে যাদের অ্যালার্জির পরিমাণ রয়েছে তারা এই মাংস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

হাঁসের মাংস্যঃ হাঁসের মাংসের ভক্ত নেই আমাদের বাঙালিদের মধ্যে এটা বলাই যাবে না। কারণ আমরা যেরকম গরুর মাংস পছন্দ করে থাকি সেরকমই হাঁসের মাংস পছন্দ করে থাকি। আমাদের দেশের মানুষ হাঁসের মাংসের সাথে একটু বেশি ঝাল দিয়ে তরকারি খেতে অনেক পছন্দ করে থাকে। তবে এই স্বাদের মধ্যেও একটি ক্ষতিকর দিক আছে তা হল এর এলার্জির দিক। হাঁসের মাংস বন্ধুরা এলার্জি রয়েছে।
খাসির মাংসঃ খাসির মাংস বাঙালিরা খায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। কারণ প্রত্যেক মানুষের খাসি মাংসকে অসম্ভব ভালোবেসে থাকে। আমার দেশের মানুষেরা খাসির মাংসের নিহারি খেতে খুব বেশি পছন্দ করে থাকে। তবে এই মাংসের এলার্জির পরিমাণ কিন্তু কম নয়। এই মাংসে  প্রচুর পরিমাণ এলার্জি থাকে।

আরো অনেক জাতীয় মানুষের এলার্জি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে চার পা ওয়ালা যত মাংস রয়েছে প্রত্যেকটা মাংসতেই কম বেশি এলার্জি রয়েছে। তবে আমরা এই তিনটি নিয়ে আলোচনা করার কারণ হলো আমাদের দেশের মানুষেরা এই তিনটি মাংসই বেশি খেয়ে থাকে। আশা করছি আপনারা সকলে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।

আমাদের কিছু কথা : এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম

আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি যে এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম এবং আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে। তাছাড়াও আমরা এখানে আরো আট  ধরনের খাবার নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আশা করছি যে আপনার এই সকল তথ্য থেকে উপকৃত হবেন। আমরা প্রথমে বলেছি যে  অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে শুধুমাত্র খাবারের এলার্জি থাকে না বরং ওই ব্যক্তির  কাছে থাকে।

তবুও আপনার এই খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন। আরেকটু বড় কথা হচ্ছে আপনার যে খাবারে সমস্যা হবে আপনি সেই খাবার থেকেই বিরত থাকবেন। এটা ধরে নিতে হবে আপনার জন্য ওই খাবারে এলার্জি রয়েছে। আমরা এখানে যেসব বেশি আলোচনা করলাম এলার্জি জাতীয় খাবারের নাম এবং আরো অনেক বিষয় যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। 

এগুলো প্রত্যেকটি সঠিক গবেষণা এবং অনেক অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এই পোস্টটি লেখা হয়েছে। তবুও আপনারা এর আরো ভালো ফল পেতে আপনারও একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ দ্বারা জেনে শুনে এই  খাবার গুলি খাবেন। কারণ আমরা মানুষ আমাদেরও ভুল হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাজেডি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url