স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয় ও স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট
স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয় আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে এই পোস্ট থেকে
জেনে নিন। কারণ স্মার্ট টিভি কেনার সময় অনেক জেনে কিনতে হয় নইতো পরে পস্তাতে হয়।
তাই এই আপনার জন্যই লেখা হয়েছে।
তাই এই পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ূন যাতে আপনিও জানতে পারেন যে স্মার্ট টিভি কেনার
আগে কি কি করণীয়। তাছাড়া এই পোস্টে আমরা আরো জানতে চলেছি যে স্মার্ট টিভিতে
কি কি করা যায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যা যা খুঁজে বেড়াচ্ছেন
স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয়
আমাদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টিভি। আমাদের দিনের কিছু সময় টিভির পেছনে
না দিলে মনে হয় যে আমাদের দিন কাটবে না। সেই টিভি যদি হয় আবার স্মার্ট টিভি
তাহলে তো আর কোন কথায় থাকে না। যখন যেটা ইচ্ছা তখন সেটা দেখা যাবে আমাদের
স্মার্ট টিভিতে। আমরা বিভিন্ন স্মার্ট টিভি তো কিনব কিন্তু স্মার্ট টিভি কেনার
আগে করনীয় কি সেই বিষয়ে সম্পর্কে জানা জরুরী।
আরো পড়ুনঃ বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত
আমরা যে বলছি স্মার্ট টিভি তাহলে স্মার্ট টিভি কাকে বলে সেটা জানা আমাদের প্রথমে
দরকার। স্মার্ট টিভি হল ওই সকল টিভি যে সকল টিভিতে ইন্টারনেট
ব্রাউজিং, স্ট্রিমিং অ্যাপস এবং অন্যান্য মাধ্যমে সংযোগ দেওয়ার মাধ্যম
রয়েছে তাকেই বলা হয় স্মার্ট টিভি। তাহলে আমরা এখন জেনে নেই স্মার্ট টিভি কেনার
আগে কি কি করণীয়।
বাজেট নির্ধারণ করাঃ আমাদের টিভি কেনার আগে সবচেয়ে বড় যে বিষয়
হচ্ছে সেটি হচ্ছে বাজেট নির্ধারণ করা। কারণ আমরা যদি আমাদের বাজেট সম্পর্কে না
জানি তাহলে আমরা ভালো ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্ট টিভি পছন্দ করতে পারবো না। তাই
আমাদের সবার আগে আমাদের বাজেটকে নির্ধারণ করতে হবে।
ব্র্যান্ড নির্ধারণ করাঃ বাজেট নির্ধারণ করার পর সবচেয়ে বড় যে কাজটি হল
ভালো ফিচার সমৃদ্ধ টিভি পছন্দ করতে হবে। আপনার ফিচার যদি আগে থেকেই পছন্দ
থাকে তাহলে এখন আপনাকে ব্রান্ড বেছে নিতে হবে। ব্র্যান্ড মানে আপনি কোন কোম্পানির
টিভি আছে সেটি আপনাকে নির্ধারণ করে নিতে হবে। তবে আপনি টিভি কিনতে যাওয়ার সময়ও
সেটি পছন্দ করতে পারেন।
ভিডিও কোয়ালিটি চেক করাঃ আমরা যেকোনো টিভি কিনি না কেন আমাদের যেটা মৌলিক
বিষয় দেখার হলো সেটি হল ভিডিও কোয়ালিটি চেক করা। মানে আমি এখানে বোঝাতে চেয়েছি
যে টিভির রেজুলেশন চেক করা। একটি টিভির রেজুলেশন যত বেশি তার ভিডিও কোয়ালিটি তত
বেশি। তাই আপনারা একটি টিভি কেনার আগে অবশ্যই রেজুলেশন চেক করে কিনেবেন।
সাইজঃ টিভি কেনার সময় আরেকটি সবচেয়ে বড় যে খেয়াল রাখতে হবে তা হল
সাইজ। কারণ আপনার টিভি যদি বড় হয় কিন্তু রাখার জায়গা ছোট তাহলে সেই টিভি দেখে
কোন আনন্দ পাওয়া যাবে না। বরং সেটি অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে যাবে। তাই আপনাকে আপনার
জায়গার সাইজ অনুযায়ী টিভি নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যত ইঞ্চি টিভি তার সাথে ১০
ভাগ করে যা দূরত্ব আসবে সেই দূরত্ব থেকে টিভি দেখা উচিত।
ডিসপ্লে প্রযুক্তিঃ ডিসপ্লে প্রযুক্তি বলতে আমি এখানে বুঝিয়েছি যে
ডিসপ্লে এলইডি না ওলেড। যখন টিভি এসেছিল তখন প্রথম এসেছিল প্লাজমা টিভি এবং তারপর
এসেছিল এলসিডি। এগুলো প্রথম দিক কার ছিল। পরবর্তীতে আসে এলইডি এবং ওলেড। সাধারণত
ওলেডের দাম একটু বেশি। তবে দুটো কাজই প্রায় সমান বলা যায়। এরপরে যেটি এসেছিল
সেটি হলো কিউলেড যা মূলত স্যামসাংয়ের এর দামি এলইডি টিভি।
অডিও চেক করাঃ আমরা যদি একটা স্মার্ট টিভির দাম দেখে সেই টিভি ভাল
মনে করে নিয়ে আসি তাহলে সেটা বোকামি হবে। আমাদের উচিত যে কোন টিভি কিনি না কেন
প্রথমে আমাদের মৌলিক কিছু বিষয় চেক করা। যার মধ্যে একটি হলো টিভির অডিও চেক করে
নেওয়া। কারণ অডিও খারাপ হলে সেই টিভি দেখে মজা নেই।
রিমোট কন্ট্রোল চেকঃ রিমোট কন্ট্রোল চেক বলতে আমি এখানে বুঝিয়েছি যে
একটি টিভি কেনার সময় বা তার আগে রিমোট ব্যবহার সম্পর্কে ভালো করে জেনে নেওয়া।
মানে ওই টিভি কন্ট্রোল করার বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া। কারণ আপনি যদি স্মার্ট
টিভি কন্ট্রোল করতে না পারে তাহলে সেই টিভি কিনে আপনার কোন লাভ নেই।
ক্যাবল চেকঃ কেবল চেক বলতে আমি এখানে বুঝিয়েছি যে স্মার্ট টিভির
কানেক্টিভিটি চেক করে নেওয়া। তা হলো বিভিন্ন পোর্ট বা USB পোর্ট চেক করে নেওয়া।
তার সাথে টিভিতে গেমিং এবং আরো অনেক ইনপুট ডিভাইস আছে কি না চেক করে নেওয়া।
ওয়ারেন্টিঃ সর্বশেষ যে বিষয়টি দেখার হলো সেটি হল গ্যারান্টি বা
ওয়ারেন্টি। যদিও আজকাল কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে গ্যারান্টি থাকে না। আপনি যখন
একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা স্মার্ট টিভি কিনবেন তখন অবশ্যই এর ওয়ারেন্টি চেক
করবেন। ওয়ারেন্টি চেক করে না নিলে পরবর্তীতে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে।
এই হলো স্মার্ট টিভি কেনার আগে যা যা খেয়াল রাখার বিষয়। তাহলে আমরা এখানে
জানলাম স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করনীয় বিষয় সম্পর্কে। তবে এখন আমরা আলোচনা
করতে চলেছি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যা হল স্মার্ট টিভিতে কি কি করা
যায়।
স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়
স্মার্ট টিভি হচ্ছে এমন একটি টিভি যার সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে। আমরা এত
স্মার্ট টিভি প্রশংসা শুনে থাকি। তাছাড়া স্মার্ট টিভি কেনার আগের সকল কার্যাবলী
সম্পর্কে সকল জায়গায় দেখা যায়। কিন্তু এত প্রশংসা এবং কার্যাবলীর ভেতরে একটি
প্রশ্ন থাকে তাহলে স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়। এই প্রশ্নটি আমাদের জনসাধারণের
কাছে অনেক ঘুরপাক খায়। তা আসুন এখন আমরা জানি স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়।
ফেইসবুক ব্যবহারঃ আপনারা একটু অবাক হবেন যে স্মার্ট টিভিতে ফেসবুক
ব্যবহার করার যায়। এখানে অবাক হওয়ার কোন বিষয় নেই কারণ স্মার্ট টিভিতে
ইন্টারনেট সংযোগ থাকায় এটি সম্ভব। এটি তে ইন্টারনেট ব্রাউজার থাকার কারণে
ফেসবুকে সকল সুবিধা এখানে গ্রহণ করা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়াঃ স্মার্ট টিভিতে সোশ্যাল মিডিয়ার সকল কিছুই ব্যবহার
করা যায়। যথা ফেইসবুক, টুইটার এবং ইন্সটাগ্রাম। এ সকল কিছুই স্মার্ট টিভিতে
ব্যবহার করা যায়। কারণ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ তার সাথে রয়েছে
ব্রাউজার। এই কারণে স্মার্ট টিভিকে বলা হয় বিজ্ঞানের স্মার্ট আবিষ্কার।
গেম খেলাঃ স্মার্ট টিভিতে শুধু যে আমরা গান সিনেমা বা নাটক দেখা যায়
তা কিন্তু না। এখানে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সাথে সাথে আমরা এখানে গেমও খেলতে
পারি। এখানে বিভিন্ন রকমের ভিডিও গেম খেলা যায়। যা আসলেই অনেক আনন্দদায়ক এবং
মজাদার হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গুগল এবং ইউটিউব ব্যবহারঃ স্মার্ট টিভিতে ইউটিউবের সাহায্যে ফুল
রেজুলেশন যে কোন নাটক গান বা সিনেমা দেখা যায়। সেইসাথে এখানে গুগলের মাধ্যমে
বিভিন্ন আর্টিকেল পড়া যায়। আর এসব ব্যবহারের জন্য স্মার্ট টিভিতে ওয়াইফাইও
লাগানো যায়।
তাহলে আমরা এতক্ষন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানলাম তাহলে স্মার্ট টিভিতে
কি কি করা যায়। এখন আমরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত হব তা হল
স্মার্ট টিভি এবং অ্যান্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য।
স্মার্ট টিভি ও এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য
আমরা এতক্ষন স্মার্ট টিভি সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। তবে এখন জানার সময় এসেছে
স্মার্ট ও অ্যান্ড্রয়েড টিভির মধ্যে আপনি কোনটা নিবেন। এই
প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের দেখতে হবে স্মার্ট টিভি এবং এন্ড্রয়েড টিভির
মধ্যে পার্থক্য কি। তাহলে আসুন আমরা এই পর্যায়ে জেনে নেই স্মার্ট টিভি ও
এন্ড্রয়েড টিভির মধ্যে পার্থক্য কি।
স্মার্ট টিভিঃ প্রথমে আপনাদের জানিয়ে দেই যে প্রত্যেক অ্যান্ড্রয়েড টিভি
স্মার্ট টিভি কিন্তু প্রত্যেক স্মার্ট টিভি এন্ড্রয়েড টিভি নয়। এটি বলার
কারণ কি আপনারা এই টপিকটি ভালোভাবে পড়লে বুঝতে পারবেন। আসলে স্মার্ট টিভিতে
ইন্টারনেট ব্রাউজার বা ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এখানে সকল ধরনের ইন্টারনেটের কাজ
করা যায়।
তবে একটি কথা জেনে রাখা ভালো যে স্মার্ট টিভিতে যে অ্যাপসগুলো ইন্সটল করা থাকে
সেই ইন্সটলকৃত অ্যাপসগুলো খুব ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু নতুন করে কোন
অ্যাপস ইনস্টল করা যায় না গেলেও তার কার্যকর হয় না। তাছাড়াও স্মার্ট টিভিতে
আরো অনেক কিছু সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এন্ড্রয়েড টিভিঃ এন্ড্রয়েড টিভি আসলে এন্ড্রয়েড ফোনের মত। এখানে
তেমন কোন পার্থক্য নেই শুধুমাত্র একটি টিভি আরেকটি ফোন। ফোনে কথা বলা
গেলেও এন্ড্রয়েড টিভিতে কিন্তু কথা বলা যায় না। আমরা যেমন দেখলাম যে
স্মার্ট টিভিতে শুধু ইনস্টলকৃত অ্যাপস ব্যবহার করা যায় কিন্তু এন্ড্রয়েড
টিভিতে এরকমটি নয়।
আপনি যখন তখন চাইলে অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে গুগল প্লে স্টোর থেকে যেকোনো কিছু
নামাতে পারবেন। এটা কোন সমস্যা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে গুগল প্লে
স্টোরের নাম শুনে মনে করবেন না এটি শুধু এন্ড্রয়েড দ্বারায় ব্যবহৃত হয়।
এখন অ্যাপেল কোম্পানিও তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড টিভি
বানাচ্ছে। এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা রয়েছে এন্ড্রয়েড টিভিতে যা আপনারা জানেন।
আমরা এতক্ষণ জানলাম যে কিছু এন্ড্রয়েডএবং স্মার্ট টিভির মধ্যকার পার্থক্য।
তবে আমরা এতোটুকু আলোচনা কারণ হচ্ছে স্মার্ট টিভিতে যা করা যায় অ্যান্ড্রয়েড
টিভিতেও তা করা যায় শুধু পার্থক্য এতোটুকুই। তাই বলা যায় প্রত্যেক
অ্যান্ড্রয়েড টিভি স্মার্ট টিভি কিন্তু প্রত্যেক স্মার্ট টিভি এন্ড্রয়েড
টিভি নয়।
স্মার্ট টিভি ও সাধারণ টিভির মধ্যে পার্থক্য
স্মার্ট টিভির যে অনেক ফিসার রয়েছে পূর্বে আমরা একসাথে পরিচিত হয়েছি। তবে এখন
আমাদের টপিক হচ্ছে স্মার্ট টিভি ও সাধারণ টিভির মধ্যে পার্থক্য কি এটা সম্পর্কিত।
তাহলে আসুন আমরা এখন জানি যে স্মার্ট টিভি ও সাধারণত এর মধ্যে পার্থক্য কি।
স্মার্ট টিভি
স্মার্ট টিভিতে কি কি ফিচার রয়েছে আমরা ইতোমধ্যে উপরের বেশ কয়েকটি টপিকে
আলোচনা করেছি। তবুও এখানে আরেকটু করতে হয় যে স্মার্ট টিভিতে বিভিন্ন সোশ্যাল
মিডিয়ার সকল অ্যাপস ব্যবহার করা যায়। এখানে ব্যবহার করা যায় ফেসবুক টুইটার
বর্তমান যেটি এক্স নামে পরিচিত। তাছাড়াও এখানে বিভিন্ন রকম ভিডিও গেমস খেলা
যায়।
স্মার্ট টিভির দ্বারা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যায়। সেই সাথে এটি বিভিন্ন
রকমের পেনড্রাইভ ওটিজি সাপোর্ট করে থাকে। স্মার্ট টিভিতে ফুল রেজুলেশনে যেকোন
ভিডিও দেখা যায়। অনেক মুভি গান এবং নাটক দেখা যায় এখানে মূল ইউটিউব ব্যবহার
করে। তাছাড়াও আর অনেক ফিচার রয়েছে এই স্মার্ট টিভিতে।
সাধারন টিভি
সাধারণ টিভি বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে যে যে টিভিতে কোন ইন্টারনেট
ব্রাউজার বা ইন্টারনেট সংযোগ নেই তাকে সাধারণ টিভি বলা হয়। সাধারণ টিভির অতীত
খুব বেশি পুরনো। প্রথমে প্লাজমা টিভি এসেছিল তারপর এলসিডি এসেছিল যা দুটোই ভালো
কাজ করত ওই সময়। পরবর্তীতে সাধারণ এলইডি বা সাধারণ ওলেড টিভি এসেছিল
বাজারে।
এই টিভি গুলো খুব ভালো কাজ করছিল। সাধারণ টিভিরও অনেক ইউএসবি পোর্ট সাপোর্ট করে
কিন্তু ইউএসবি পোর্ট সাপোর্ট করলেই যে সেখানে সকল ধরনের মুভি বা গান সাপোর্ট
করবে তা কিন্তু নয়। সকল গান বা মুভি সাপোর্ট করানোর জন্য পোর্টেবল হার্ডডিস্ক
অথবা সকল পেনড্রাইভ সাপোর্ট করে কিনা সেটা দেখে নিতে হয়।
স্মার্ট টিভির সাথে এর তুলনা একদমই করা চলে না। কারণ স্মার্ট টিভিতে ইন্টারনেট
সংযোগ রয়েছে সেখানে অনেক কিছুর মাধ্যমে অনেক গান মুভি বা নাটক দেখা
যায়। কিন্তু সাধারণ টিভিতে শুধু ডিস কেবল অথবা সিডি প্লেয়ার এর প্রয়োজন হয়
গান নাটক এবং সিনেমা দেখার জন্য। এই হলো কিছু পার্থক্য স্মার্ট এবং সাধারন
টিভির মধ্যে।
স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট্য
স্মার্ট টিভিতে এরকম অনেক বিচার হয়েছে যে আপনি জানার পর এই টিভিটি কেনার
জন্য আপনিও ইচ্ছুক হবেন। তাহলে আমরা এখন জেনে নেই স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট্য গুলো
কি কি।
- কিছু স্মার্ট টিভিতে অ্যামাজন অ্যালেক্সা এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো বিল্ট-ইন ভয়েস সহকারী রয়েছে। এর অর্থ হল তারা একটি হাব হিসাবে কাজ করতে পারে যাতে আপনি আপনার বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইস যেমন স্মার্ট বাল্ব, থার্মোস্ট্যাট, নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং ডোরবেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ভয়েস সহকারী সহ স্মার্ট টিভিগুলি সাধারণত রিমোট কন্ট্রোলে একটি মাইক্রোফোনের সাথে আসে এবং আপনি ভয়েস নিয়ন্ত্রণ সক্রিয় করতে একটি বোতাম টিপুন।
- আপনি একটি মালিকানাধীন টিভি অ্যাপ বা তৃতীয় পক্ষের সফ্টওয়্যার যেমন Google Chromecast ব্যবহার করে আপনার ফোনের মতো অন্যান্য ডিভাইস থেকে সঙ্গীত, ভিডিও এবং ফটোর মতো মিডিয়া কাস্ট করতে পারেন৷
- স্মার্ট টিভিগুলি আপনাকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশানগুলি ব্যবহার করতে দেয়, যদিও অভিজ্ঞতা সবসময় স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করার মতো স্বজ্ঞাত নাও হতে পারে।
- আপনি আপনার স্মার্ট টিভিতে বিনামূল্যে এবং প্রদত্ত ক্যাচআপ এবং অন-ডিমান্ড স্ট্রিমিং পরিষেবা দেখতে পারেন। স্ট্রিমিং অ্যাপগুলি হয় আগে থেকে ইনস্টল করা হয় বা ডাউনলোড করার জন্য উপলব্ধ। Netflix, Amazon Prime Video, এবং Disney + এর মতো অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ আগে থেকে ইনস্টল করা আছে।
স্মার্ট টিভির অসুবিধা
এতক্ষণ তো আমরা স্মার্ট টিভির অনেক উপকার এবং প্রশংসা দেখলাম। এক ইলেকট্রনিক
জিনিসের কি শুধুই উপকার থাকে এর কি কোন উপকার নেই। হ্যাঁ বন্ধুরা একটি
ইলেকট্রিক জিনিসের অপকার থাকে। আসুন তাহলে স্মার্ট টিভির অসুবিধা গুলো জানি।
নিচে কিছু অসুবিধা আলোচনা করা হলো,
- স্মার্ট টিভি অনেক কালারফুল হয়ে থাকে। সেই সাথে এর ডিসপ্লের রেজুলেশন এবং কনট্রাস্ট অনেক বেশি হয়ে থাকে। এতে আমাদের চোখের অনেক ক্ষতি করে থাকে।
- স্মার্ট টিভি আমাদের আমাদের মাথা ব্যথা বাড়িয়ে থাকে। সে সাথে আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ কিছু কিছু ক্ষতি করে থাকে এই স্মার্ট টিভি।
- এই স্মার্ট টিভির যতই ব্রাইটনেস এবং রেজুলেশন ভালো থাকুক না কেন তবু টিভিতে অনেক কিছু ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই হল স্মার্ট টিভির সামান্য কিছু ক্ষতিকর দিকগুলো। তাছাড়া স্মার্ট টিভি
আমাদের তেমন কোন ক্ষতি করে থাকে না। আসুন এখন আমরা কিছু ভালো ভালো স্মার্ট
টিভির ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানি।
ভালো ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি
আমরা তো এতক্ষন স্মার্ট টিভির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানলাম। তাহলে এখন
আমাদের জানার বিষয় যে কোন কোন ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি আমাদের জন্য ভালো হবে।
তাই আসুন আমরা সেই ব্র্যান্ডগুলোর নাম জানি যে কোন কোন ব্র্যান্ডের স্মার্ট
টিভি বেশি ভালো।
- Samsung
- LG
- Panasonic
- MI
- Nokia
- Philips
- TCL
- One plus
আরো পড়ুনঃ স্বপ্নে সাপ দেখলে কি হয়
এ সকল হল ভালো ভালো স্মার্ট টিভির ব্রান্ডের নাম। তবে আরো অনেক ব্র্যান্ড
রয়েছে যাদের ভালো টিভি পাওয়া যায়। আমার কাছে যেগুলো সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছে
সেগুলোর লিস্ট এখানে দেওয়া হল। এগুলো না টিভির দাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড হিসেবে
হয়ে থাকে।
আমাদের শেষ কথা
আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি যে স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয় এবং আমরা
আলোচনা করেছি যে স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়। আমরা আশা করছি যে আপনারা এই সকল
বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। আমরা এটা আশা করছি যে আপনারা এই পোস্টটি খুবই
মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। কারণ এই তথ্যগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্মার্ট টিভি
কেনার জন্য।
আমরা এখানে আলোচনা করেছি যে স্মার্ট টিভি কেনার আগে কি কি করণীয় এবং আরো
অনেক বিষয় এগুলা অনেক পড়াশোনা এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে থেকে জানার পর আপনার
সাথে শেয়ার করা হয়েছে। এগুলো পড়ার পর আশা করছি আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
ট্রাজেডি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url