গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় আপনি কি বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে আমাদের
পোস্ট থেকে জেনে নিন। কেননা আমরা এই পোস্টে আপনাদের জানাতে চলেছি যে পানি কম খেলে
কি হয় গর্ভাবস্থায়। তাহলে আসুন বিস্তারিত জেনে নি্ন।
আমরা জানি যে পানি আমাদের ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাচায়। আর গর্ভাবস্থায় হচ্ছে
একটি সংবেদনশীল সময় সেই কারণে এই সময় পানি কম খেলে কি হবে তাই জানব। তাছাড়াও আমরা
এখানে জানব যে গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যা যা জানতে পারবেন
- গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়.
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় পেটে চাপ লাগলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত
- গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন
- লেখকের শেষ মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে আমাদের পোস্ট থেকে
জেনে নিতে পারেন। পানি আমাদের একটি অপরিহার্য খাবার।আমরা যদি সঠিক নিয়ম মত বা
সঠিক পরিমাণে পানি না খায় তাহলে আমাদের ডিহাইড্রেশন সহ আরো অনেক ধরনের
সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু গর্ভাবস্থা একটি সংবেদনশীল সময় এই সময় পানি কম খেলে
কি হয় গর্ভাবস্থায় তা আমরা এখন জানব।
পানি যার অপর নাম জীবন বলে আখ্যায়িত করে থাকে অনেক বিশেষজ্ঞ। পানি আমাদের
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান যা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি বা
অন্যান্য কাজ করে থাকি। একজন সাধারন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন পানি খেতে হয় তাই ২
লিটার। আর আমরা যদি এই পানি সঠিক পরিমাণ মত না খায় তাহলে আমাদের অনেক সমস্যা
দেখা যায়। যেমন ডিহাইড্রেশন, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং কিডনির সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
একজন সাধারণ সুস্থ মানুষের যদি ২ লিটার প্রতিদিন পানি খেতে হয়। তাহলে একজন
গর্ভবতী মা যদি পানি খাওয়া কমিয়ে দেয় তাহলে কি হবে এটি আমাদের আসল প্রশ্ন।
আপনি যদি এখনকার মত না হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রতিদিন ২ লিটারের বেশি পানি
খাওয়া উত্তম। কেননা আপনার পেটে একজন বসবাস করছে যে আপনার মাধ্যমে খাবার সংগ্রহ
করে থাকে। এখন মূল কথা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় ?
যদি আপনি পানি কম খান তাহলে আপনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে সেই সাথে আপনার
শরীরে ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই সময় যদি আপনার শরীরে
ডিহাইড্রেশন এর মত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার প্রসবের সময় অনেক সমস্যা হতে
পারে। সেই সাথে আপনার শরীরে আপনার প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারবে না। আপনি
আরো জেনে নেন যে গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়।
আপনার পানি কম খাওয়ার কারণে পানি শূন্যতা দেখা দিলে আর সেই সময় যদি আপনার
প্রসব হয় তাহলে আপনার অ্যানুরিয়া নামক রোগ হতে পারে।তাছাড়া আরো সংসার দেখা দিতে
পারে যেমন মানুষের শূন্যতায় পশু হলে কিডনি বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে। আবার এই
সময় প্রসব হলে খিচুনির মত অনেক সমস্যা দেখা যায়। তাই আপনি এই সময় প্রতিদিন
বেশি ২.৫লিটার থেকে ৩ লিটার পানি খাবেন।
এতে আপনি এবং আপনার বাচ্চা অভি সুস্থ থাকবেন। তাহলে এতক্ষণ আপনারা জানলেন যে
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় এই সম্পর্কে। আমরা আশা করছি যে আপনারা বুঝতে
পেরেছেন যে পানি কম খেলে কি হয় গর্ভাবস্থায়। তাহলে আমরা এই পর্যায়ে
জানতে চলেছি যে বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় গর্ভাবস্থায় সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় এই বিষয় সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান
তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। গর্ভাবস্থা এমন একটি সময় যে সময় অনেক মা মনে
করেন এটি একটি অসুস্থতা। মনে করায় থেকে গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মা অতিরিক্ত
বিশ্রাম নেন বা অতিরিক্ত শুয়ে থাকেন। এই শুয়ে থাকার ফলে কি হয় আপনারা হয়তো
জানেন না। তাহলে আসুন জেনে নিন বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় গর্ভাবস্থায় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
তাছাড়াও অনেক গর্ভবতী মায়ের রাতে ঘুম হয় না। কারণ রাতে ঘুমালে তাদের মনে হয়
যে পেটের সকল কিছু মুখ দিয়ে বের হয়ে আসবে। এটিকে বলা হয় মর্নিং সিকনেস। এই
সমস্যা কারণে অনেক মা রাতে ঘুমাতে পারেন না সেই কারণে তারা দিনে ঘুমানোর চেষ্টা
করেন। সে কারণে অনেক গর্ভবতী মা প্রচুর শুয়ে থাকেন। তাহলে আসুন আমরা জানি যে
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়।
- গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকার ফলে গর্ভবতী মায়ের হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি খাওয়ার পর সরাসরি শুয়ে পড়েন আর অতিরিক্ত শুয়ে থাকেন তাহলে এই সমস্যা আপনার দেখা দিবে।
- গর্ভাবস্থায় অনেক শুয়ে থাকার ফলে গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রত্যেকটি শুয়ে থাকার ফলে রক্তচাপ অনেক পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যা এই সময়ের জন্য অনেক ক্ষতিকর একটি বিষয়।
- গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে বা অতিরিক্ত বিশ্রাম নিলে পেটের ভেতরে বাচ্চার চাপ লেগে একটি বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
- তাছাড়া এই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঘুমালে বাচ্চার মায়ের বা গর্ভবতী মহিলার ওজন বেড়ে যায়। এই ওজন বোঝার ফলে প্রসাবের সময় অনেক সমস্যা দেখা যেতে পারে।
- তাছাড়াও গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বিশ্রাম নিলে বা অতিরিক্ত শুয়ে থাকলে গর্ভবতী মায়ের শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
আবার অনেকে বলে থাকেন যে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা বেশি শুয়ে থাকার ফলে পেটের
ভেতরে বাচ্চা চাপ লাগার ফলে বাচ্চার মাথা চ্যাপ্টা বা বাঁকা হয়ে যেতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা এই কথার সাথে একমত পোষণ করেন না। তারা বলেন যে কোন কিছুই
অতিরিক্ত ভালো না তবে এই বাচ্চার মাথা চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি
গুজব। তবে তারা বলেন উপরে যেগুলো সমস্যা বলা হয়েছে সেগুলো হতে পারে।
তারা এই বিষয় সম্পর্কে কিছু উপদেশ দেন যে একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন
কমপক্ষে ৩০ থেকে ১ ঘন্টা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা উচিত। তাছাড়া বিভিন্ন
ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে এমনকি ডায়াবেটিসেও হতে পারে। আমরা আশা করছি যে
আপনারা এখানে যে আলোচনা করলাম যেমন বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় গর্ভাবস্থায়
সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয়
গরম অবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয় আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে এখন জানার চেষ্টা
করব। ঝাল অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি আমরা। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা প্রচুর
ঝাল ও টক খেতে পছন্দ করে থাকে। কারণ এই সময় মুখে রুচি এবং হজম শক্তি কমে যায়
যার ফলে গর্ভবতী মায়েদের খাবারের প্রতি প্রভাব কমে যায়। কিন্তু আমরা অনেকে
জানি না যে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঝাল খেলে কি হয়। তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই
যে গর্ভাবস্থায় বেশি ঝাল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
যেহেতু গর্ভাবস্থায় একটি সংবেদনশীল সময় তাই এই সময় সকল কিছু জেনে বুঝে
ব্যবহার বা খাওয়া উচিত।এই সময় অনেক মায়েদের ঝাল অনেক পছন্দ হয়ে থাকে
কিন্তু ঝাল আমাদের গর্ভবতী মায়েদের অনেক ক্ষতি করে থাকে তারা সেটি জানে না
বলে এটি অনেক খেয়ে থাকে। আপনি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন তাহলে জেনে নেন যে
অতিরিক্ত কোন কিছুই এই সময় ভালো নয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঝাল খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই সাথে
হজমের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাছাড়া এই সময় অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলে
বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে দেখা যায়। এই ঝাল হয়তো আপনার মুখে ভালো
লাগলেও আপনার সাথে সহায় হয় না যার ফলে আপনার এবং আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে
পারে। তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মরিচ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
তবে এই সময় প্রত্যেক খাবারের সময় কাঁচা মরিচ রাখা যেতে পারে। কেননা কাঁচা
মরিচ আমাদের জন্য বা গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী হয়ে থাকে। তবে
এখানে মনে রাখতে হবে যে এই সময় শুকনা মরিচ বা মরিচ না খাওয়াই উত্তম।
গর্ভাবস্থায় কাঁচামরিচ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের শক্তি ফেরাতে অনেক সাহায্য
করে থাকবে এই কাঁচামরিচ। তাছাড়াও এই কাঁচা মরিচে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা
আপনার এবং আপনার বাচ্চার উপকারে আসে।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় আমরা এখন সেই বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করব।
তেতুল অত্যন্ত স্বাদজনক একটি খাবার। এই তেতুল অনেক সাহায্য করতে হয় এটা অনেক
খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় আমাদের গর্ভবতী মায়েরা প্রচুর তেঁতুল
খেয়ে থাকেন কিন্তু তারা জানেন না যে এই সময় তেতুল খাওয়া উপকারী না অপকারী।
তাহলে আসুন আপনি জেনে নিন গর্ভাবস্থায় তেতুল খেলে কি হয়।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে আমরা জানি
যে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় তাই এই সময় বিশেষজ্ঞরা বলেন যে অতিরিক্ত তে
তেঁতুল খাওয়াঠিক নয়।এই সময় তেঁতুল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু এর
সাথে অনেক বড় ধরনের অপকারিতা ও রয়েছে। এখন আমরা সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানব
যে এ সময় তেঁতুল খেলে কি কি হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ এই তেতুলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে।
- তেতুলে যেহেতু পটাশিয়াম রয়েছে তাই তেতুল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ পটাশিয়াম আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- গর্ভাবস্থায় তেতুল খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
- গর্ভাবস্থার তেতুল খাওয়ার ফলে শরীরের ফোলা ভাব দূর হয়ে যায়। সেইসাথে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পেশির ব্যথা এবং গোড়ালের ব্যথা ও নির্মূল হয়।
তবে তেতুলের কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেই দিকগুলি সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা
করতে চলেছি। তাহলে আসেন জেনে নিন যে গর্ভাবস্থায় তেতুলের ক্ষতিকর দিক
কি,
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের প্রজেস্টেরন নামক হরমোন এর উৎপাদন কমিয়ে দেয়। যার ফলে প্রসবের সময় কমিয়ে দেয়।
- তাছাড়া অতিরিক্ত তে তেঁতুল খাওয়ার ফলে এই সময় রক্তের শর্করা কমে যায়।
- আমরা যেরকম বললাম যে তেতুল খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে এটি বেশি হওয়ার ফলে রক্তচাপ আবার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় পেটে চাপ লাগলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পেটে চাপ লাগলে কি হয় আসুন আমরা সেই সম্পর্কে এখন জানি। এ অবস্থায়
আপনার পেটে বিভিন্নভাবে চাপ লাগতে পারে। এই চাপ লাগার কারণে গর্ভবতী মায়েরা অনেক
চিন্তায় পড়ে যান। তারা মনে করে থাকেন যে এর কারণে হয়তো বাচ্চার অনেক ক্ষতি হতে
পারে। তাহলে আসন আমরা এখন এই বিষয় নিয়ে জানি যে গর্ভাবস্থায় পেটে চাপ লাগলে কি
কি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বিভিন্নভাবে পেটে চাপ লাগতে পারে যেমন পেট যখন বড় হয় বা শক্ত
হয় তখন যেকোনো এক কাতে বেশিক্ষণ ধরে শুয়ে থাকলে পেটে চাপ পড়তে পারে। বা আপনি
অনেকক্ষণ ধরে বসে আছেন তখন পেটে চাপ লাগতে পারে যদি এভাবে চাপ লাগে তাহলে
বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার তেমন কোন সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু যদি আঘাতের মাধ্যমে
চাপ লেগে থাকে তাহলে কিছু ক্ষতি হতে পারে।
যেমন এই সময় যদি পেটে আঘাতের কারণে চাপ লাগে তাহলে বাচ্চার কিছুটা
ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া গর্ভবতী মায়ের রক্ত পড়তে পারে। যদি এই চাপ লাগার
কারণে গর্ভবতী মায়ের জরায়ুতে আঘাত পায় তাহলে সেই গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুরও
আশঙ্কা থাকে।তাছাড়াও পেটে সেই চাপ লাগার কারণে প্রসবের সম্ভাব্য
সময়ের আগেই প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময় যতটা পারে সচেতন
হয়ে থাকবেন।
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয়
গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ঘুমালে কি হয় এই বিষয় নিয়ে আমরা এখন জানার চেষ্টা করি।
গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় অনেক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সে কারণে অনেক বড়
সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় অনেক গর্ভবতী মায়ের। ঙ্গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায়
আরেকটি সমস্যা দেখা যায় সে সমস্যাটি হলো কোন পাশে শুয়ে থাকবে সেটা অনেকেই
জানে না। তাহলে আসুন এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় ডানপাশে ঘুমালে
কি হয়।
অনেকে বলে থাকেন যে গর্ভাবস্থায় ডানপাশে ঘুমালে অনেক উপকার হয় বা তেমন ক্ষতি
হয় না। তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন যদি আপনার পেট বড় হয়ে যায় আর আপনি ডান
পাশে কাজ হয়ে ঘুমান তাহলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। যেমন আপনার শরীরের ডান পাশে
রয়েছে লিভার আর আপনি যদি ডান পাশে ঘুমান তাহলে আপনার লিভারের উপরচাপ পড়তে
পারে। তার কারণে আপনার লিভারের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
তাছাড়াও ডান পাশে শোয়ার কারণে বাচ্চার শরীরের উপর অনেক বেশি চাপ পড়তে পারে
এতে বাচ্চারাও ক্ষতি হতে পারে। তাই আসুন সবার সঠিক নিয়ম জেনে নিন। আপনি চাইলে
বাম কাত হয়ে বা বাম পাশে শুতে পারে। এতে অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন
গর্ভাবস্থায় পেট বড় হয়ে গেলে নিঃশ্বাস হয় কিন্তু বাম পাশে শোয়ার কারণে বা
বাম কাতে শুয়ে থাকার কারণে সেই নিশ্বাস নেওয়ার সমস্যাটি দূর হয়ে যায়।
তাছাড়া বাম পাশে বা বাম কাত হয়ে ঘুমালে বাচ্চারও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে
আপনি যে শুধু বাম কাতেই বা বাম পাশেই শুতে পারবেন তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে
ডান পাশে শুতে পারে তবে নির্দিষ্ট সময় পর পর পজিশন পরিবর্তন করায় উত্তম হবে
আপনার জন্য এবং আপনার বাচ্চার জন্য। আমরা আশা করছি যে আপনারা এ সকল বিষয়
সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়
গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয় এই বিষয় নিয়ে এখন আমরা জানতে চলেছি।
গর্ভাবস্থা এমন একটি সংবেদনশীল সময় যে সময় গর্ভবতী মায়ের প্রত্যেক পদক্ষেপ
অনেক ভেবেচিন্তে নেওয়া উত্তম। কারণ এই সময় ছোট একটি ভুল আপনার এবং আপনার
বাচ্চার অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। এমন অনেক মা রয়েছে যারা গর্ভবস্থায় প্রচুর
ঘুমিয়ে থাকে। কিন্তু যারা জানেন না এ যে কি কি সমস্যা হতে পারে।
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরী তবে এটি আবার বেশি করা ঠিক নয়।
গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন কারণে রাতে ঘুমাতে পারে না সে কারণে অনেক মা রয়েছে
যারা দিনে প্রচুর ঘুমায়। আবার অনেক মা রয়েছে যারা এই গর্ভাবস্থা কে অসুস্থতা
মনে করে অনেক বেশি ঘুমিয়ে থাকে। অথচ তারা জানে না যে গর্ভাবস্থায় কোন
অসুস্থতা নয়। হ্যাঁ তবে এই সময় শরীর অনেক বেশি খারাপ হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
এই প্রচুর ঘুমানোর নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে একজন গর্ভবতী মায়ের ঘুম অত্যন্ত
জরুরী কিন্তু এটি আবার অতিরিক্ত করা উচিত নয় এতে অনেক সমস্যা হতে পারে। তারা
বলেন মর্নিং সিকনেস এর কারণে মায়েরা পর্যাপ্ত রাতে ঘুমাতে পারে না। সেই কারণে
তারা দিনে প্রচুর ঘুমিয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞ আরও বলেন একজন গর্ভবতী মায়ের
প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুম পাড়া অত্যন্ত জরুরি তবে এর বেশি পারলে
ক্ষতি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বেশি ঘুমানোর ফলে রক্তের সুগারের
সম্ভাবনা থাকে সেই সাথে এ সময় অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা
দেখা দিতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে আপনার শরীরকে দুর্বল করে দিতে
পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। আমরা আশা করছি যে আপনার এই সকল বিষয়গুলো সম্পূর্ণ
বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত
গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসা উচিত এ সম্পর্কে এখন আমাদের জানা উচিত। কেননা একজন
গর্ভবতী মায়ের পেট বড় হয়ে গেলে বসতে অনেক সমস্যা হয়। তাই তাদের জানা উচিত যে
কিভাবে বসলে বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না। কেননা আপনার চলাফের ওপর নির্ভর করে আপনার
বাচ্চার সুস্থতা নির্ভর করছে। অনেক মা জানে না যে গর্ভাবস্থায় কিভাবে বসতে হয়।
তাহলে আসুন বিস্তারিত জেনে নিন
গরম অবস্থায় বসার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমি যদি এই নিয়ম গুলি
মেনে চলতে না পারেন তাহলে আপনার এবং আপনার বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তাই আপনি যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন এই নিয়ম গুলি মানার। কেননা এই সময় একটি ছোট ভুল
আপনার এবং আপনার বাচ্চার অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই আসুন নিয়ম গুলো কি
বিস্তারিত জেনে নিন।
- আপনাকে সব সময় সোজা হয়ে বসতে হবে। যেমন আপনাকে সব সময় পিঠের মেরুদন্ড সোজা করে বসতে হবে এবং কাধকে পিছন দিকে নিয়ে আসতে হবে। তাছাড়াও কাধকে বা পিঠকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য পিছনে একটা বালিশ নিতে হবে।
- আপনি যতক্ষণ বসে থাকবেন ততক্ষণ আপনার পা মাটিতে বা ফ্লোরে টিকিয়ে রাখতে হবে এতে করে আপনার পেটে অনেক আরাম পাবেন।
- আপনি যেভাবে বসবেন সেই চেয়ারে উচ্চতা একটু দেখে নিবেন। আপনি যে চেয়ারে বসবেন সেই চেয়ারে উচ্চতা যেন স্বাভাবিক রকম হয় যেমন চেয়ারে বসে থেকে যেন আপনি মাটিতে পা রাখতে পারেন।
- বারবার বসার পজিশন চেঞ্জ করবেন। কখনোই আপনি একরকম ভাবে অনেক সময় ধরে বসে থাকবেন না এতে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
- মনে রাখবেন আপনি এমনভাবে বুঝবে না যাতে আপনার পেটে চাপ পড়ে। সেই জন্য আপনি দেখে নিবেন যে কিভাবে বসলে আপনার পেটে চাপ পড়ছে না।
- অনেক গর্ভবতী মা আরামদায়কের জন্য এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে বসে থাকেন। এই কাজটি আপনি কখনোই করবেন না গর্ভাবস্থায়। কারণ এভাবে বসলে আপনার পেটে একটি চাপ সৃষ্টি করে যা আপনার ক্ষতি করে থাকে।
আমরা এইমাত্র আলোচনা করলাম যে গর্ভাবস্থায় বসার নিয়ম সম্পর্কে। আমরা আশা
করছি যে আপনারা এই সকল বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। কারণ
আমরা চাই যে আপনারা আমাদের মাধ্যমে কিছু হলেও উপকৃত লাভ করেন।
গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন
গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন এই প্রশ্নের উত্তর আমরা এভাবে জানতে চলেছি।
গর্ভাবস্থায়একজন গর্ভবতী মায়ের মনে অনেক প্রশ্ন উঁকি দেয়। তার মধ্যে সবচেয়ে
প্রয়োজনীয় একটি প্রশ্ন হল গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন। আমাদের গর্ভবতী
মায়েরা পেট শক্ত হওয়ার কারণে অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কারণ তারা জানেন না
যে গর্ভাবস্থায় ঠিক কি কারনে পেট শক্ত হয় এবং হলে কি করনীয়।
গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু কারণে পেট শক্ত হয়ে যেতে পারে। যেমন ধরেন আপনার
প্রেগনেন্সির বা গর্ভাবস্থার ১ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত চলছে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে
যে আপনার জরায়ু সংকুচিত এবং প্রসারিত হচ্ছে। এটি তেমন কোন সমস্যা নয় কিছুক্ষন
পর আবার একা একাই এটি ঠিক হয়ে যাবে। তবে এটি যখন আপনার গর্ভাবস্থার সময়
বাড়তে থাকবে তখন এর কিছু লক্ষণ আরো দেখা যাবে।
এখন যেই পেট শক্ত হয়ে আসছে সেই পেট শক্ত হওয়ায় সময় বাড়ার সাথে সাথে আপনার
লেবার পেইন হিসাবে প্রকাশ পাবে। ধরেন আপনার গর্ভাবস্থায় সময় চলছে সাত থেকে নয়
মাস এই সময় এই পেট শক্ত হয়ে আসা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তবে আপনার যদি নয়
মাস বয়সে এসে এই সমস্যা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার প্রসবের সময়
ঘনিয়ে আসছে। কেননা এই জরায়ু সংকুচিতএবং প্রসারিত হওয়ার মাধ্যমে লেবার পেইনের
প্রকাশ পায়।
কিন্তু এটি যদি আপনার সাত মাস থেকে শুরু হয় তাহলে একটু সমস্যায় পড়তে হয়।
তার কারণ সাত মাসে যদি আপনার লেবার পেন দেখা দেয় তাহলে এটি অনেক সমস্যার একটি
বিষয়। তবে আপনাকে বুঝতে হবে যে ৭ মাস সময় এসে আপনার পেট শক্ত হয়ে থাকাটা
কতক্ষণ থাকছে। যদি এটি কিছুক্ষণ পর চলে যায় তাহলে বুঝতে হবে কোন সমস্যা নেই।
এটি একটি নরমাল বিষয়।
তবে যদি আপনার পেট শক্ত আসা অনেকক্ষণ ধরে থাকে তার সাথে পেটে বা কোমরের সাইডে
হালকা ব্যথা বা প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয় তাহলে এটি চিন্তার বিষয়। কারণ তার
মাধ্যমে আপনি সময়ের আগেই প্রসবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই দিক আপনার খেয়াল
রাখতে হবে যে এই পেট শক্ত থাকা কতক্ষণ থাকছে এবং ব্যাথা অনুভব হচ্ছে কিনা। এই
সমস্যা যখন চলতে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে আলোচনা করবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
সম্মানিত পাঠক আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি যে গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি
হয় এই সম্পর্কে এবং আরো অনেক বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করেছি। আমরা আশা করছি
যে আপনারা এই সকল বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।
আপনারা যদি এই বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন তাহলে এই বিষয়গুলো মেনে
চলার চেষ্টা করবেন। কেননা আমরা এ সকল বিষয়গুলো অনেক জানাশোনার মাধ্যমে লিখেছি।
আমরা এখানে যে বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছি সেগুলো হল গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি
হয় এবং আরো সকল কিছু এই বিষয়গুলো অনেক গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ
থেকে জেনে শুনেই লেখা হয়েছে। আমরা আশা করছি যে আপনারা যদি নিয়ম গুলি মেনে
চলতে পারেন তাহলে আপনারা উপকৃত হবেন। তাছাড়া আপনি আরো ভালো করে জানতে একজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিবেন। কেননা আমরা চাই না যে আমাদের মাধ্যমে
আপনাদের কোন ক্ষতি হয়ে যাক।
ট্রাজেডি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url