ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়- সঠিক নিয়ম জানুন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্ট থেকে তা জেনে নিন। আমরা সকলেই ফর্সা হওয়ার জন্য অনেক কসমেটিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করে যা ত্বকের জন্য সবসময় উপকারি নয়।
ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়
তাহলে আসুন আমরা এখন জানি ত্বকের ক্ষতি না করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়। আমরা এখানে আরো জানব ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায়। আপনি এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আপনি যা যা জানতে চাচ্ছেন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় আমরা এই পর্যায়ে আলোচনা করব। আমরা কম বেশি সকলেই ফর্সা হতে চায় এবং ফর্সা হতে পছন্দ করে থাকি। আর সেই কারণেই ফর্সা হওয়ার জন্য আমরা বাজার থেকে অনেক দামি দামি কসমেটিক পণ্য কিনে থাকি এবং তার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমাদের কাছে কোন উপকার হয় না বরং ত্বকের ক্ষতিই বেশি হয়। 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার প্রথম ধাপঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার প্রথম উপাদান হলো হলুদ। হলুদের বিভিন্ন ভাবে ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বককে ফর্সা করা যায়। আসুন নিম্নে আমরা জানি হলুদ দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।
হলুদ এবং মধুর ব্যবহারঃ হলুদ এবং মধুর ব্যবহার আমাদের ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারি। এই দুটিকে ব্যবহারের জন্য প্রথমে কাঁচা হলুদ পিশে নিন এবং এর সাথে মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক ফর্সা হতে শুরু করবে।

হলুদ এবং লেবুর ব্যবহারঃ হলুদ ও লেবু উভয়ই ত্বকের জন্য অধিক উপকারি। হলুদ এবং লেবু মিশ্রণে আপনার ত্বকও ফর্সা হতে পারে। হলুদ এবং লেবুর ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনাকে এক কাপ লেবুর রস এবং কাচা হলুদ পিশা একই সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর ৩০ মিনিটের মত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর ধুয়ে ফেলুন।

হলুদ এবং গোলাপ জলের ব্যবহারঃ গোলাপজল আমাদের ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারী। হলুদ ও গোলাপ জলে ব্যবহার আপনার ত্বককে করতে পারে ফর্সা এবং উজ্জ্বলময়। হলুদ ও গোলাপ জলে ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনাকে কাঁচা হলুদ বেটে মিহি করে নিতে হবে এবং এর সাথে সামান্য পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর.২০ থেকে ৩০ মিনিট আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ও নির্দিষ্ট সময় পর তা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার দ্বিতীয় ধাপঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার জন্য দ্বিতীয় ধাপ হিসাবে আমরা নিমপাতা কে বেছে নিতে পারি। কারণ নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারী এবং সহজেই পাওয়ার যোগ্য একটি উপাদান। তাহলে আসুন আমরা এখন জানি নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।

নিম এবং অ্যালোভেরার ব্যবহারঃ নিম এবং অ্যালোভেরা আমাদের ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারি দুটি প্রাকৃতিক উপাদান। নিম ও অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে আপনিও আপনার ত্বককে ফর্সা ও প্রাণ উজ্জ্বল করতে পারেন। প্রথমে এলোভেরা ভেতরের অংশ এবং নিমের বাটা অংশ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং .৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন দেখবেন আপনিও ফর্সা হতে শুরু করেছেন।

নিম এবং হলুদের ব্যবহারঃ নিম এবং হলুদ এই দুটি ত্বকের জন্য কতটা যে উপকারী তা বলে বোঝানো যাবে না। নিম এবং হলুদের উপকারিতা পেতে প্রথমে আপনাকে হলুদের গুঁড়া অথবা কাঁচা হলুদ বেটে নিতে হবে এরপর এখানে নিম পাতা বেটে মেশাতে হবে এবং আপনারা চাইলে এখানে ডাবের সামান্য কিছু পানীও যোগ করতে পারেন। 

এই তিনটি যোগ করার পর ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর তা স্বচ্ছ পানিতে ধরে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার ত্বকেও ফর্সা ও উজ্জ্বলতা দেখা দিবে।

কলা এবং ময়দার ব্যবহারঃ কলা একটি নিত্য প্রয়োজনীয় এবং অনেক উপকারী ফল। এটি যেমন খাওয়ার জন্য উপকারী কেমন ত্বকের ব্যবহারের জন্য ব্যাপক উপকারী। কলা ও ময়দার উপকারিতা পেতে প্রথমে কলা বেটে নিতে হবে এবং এর সাথে কিছু পরিমাণ ময়দা মিশিয়ে আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছু সময় পর তা নিজে ধুয়ে ফেলুন।

আমরা এইমাত্র আলোচনা করলাম ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়। আশা করছি আপনিও এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তাহলে এখন আমরা জানব ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে ব্রণ দূর করা যায়।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা এই পর্যায়ে জানব। ব্রণের সমস্যা আমাদের কম বেশি সকলেরই দেখা যায় এবং এটি এমন একটি সমস্যা যা কিছুতেই নির্মূল করা যায় না। এটি নির্মুল করার আশায় আমরা বাজার থেকে অনেক দামী দামী কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করে থাকি যা আমাদের সচরাচর ক্ষতি বয়ে আনে তাহলে আসুন কিভাবে ক্ষতি না করে ব্রণ দূর করা যায় জেনে নেয়।

মধু এবং দারচিনির ব্যবহারঃ আমরা সচরাচর জেনে থাকি দারচিনি একটি অত্যন্ত উপকারী রান্না করার উপাদান। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে দারচিনি দিয়ে ত্বকের রূপচর্চা ও করা যায় তাহলে আসুন জেনে নেই মধু এবং দারচিনি কিভাবে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক থেকে ব্রণ দূর হতে থাকবে।

মধু এবং দারচিনি দিয়ে ব্রণ দূর করার জন্য প্রথমে আপনাকে এক টেবিল চামচ মধু এবং দারচিনি গুড়া করে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এই তৈরিকৃত পেস্টটি ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন এরপর নির্দিষ্ট সময় পর তা স্বচ্ছ এবং সাদা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে এবং কিছুদিন করার পর দেখবেন আপনার মুখে ব্রণ দূর হয়ে যাচ্ছে।

মধু এবং ডাবের পানির ব্যবহারঃ ডাবের পানি আমাদের খাওয়ার জন্য যেরকম উপকারী তেমন ত্বকের জন্যও তেমন উপকারী। মুখের ব্রণ দূর করতে ডাবু ও মধুর জুড়ি নেই। প্রথমে আপনাকে মধু এবং সামান্য পরিমাণের ডাবের পানি মিশিয়ে আপনার মুখে তেলের মত মেখে নেই এবং নির্দিষ্ট সময় পর তা পানি দিয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার ত্বক থেকে ব্রণ দূর হতে থাকবে।

পেঁপে ও হলুদের ব্যবহারঃ পেঁপে একটি উপকারী ফল যা খাওয়ার সাথে সাথে ত্বকের ব্যবহারেও কার্যকরী। পেঁপে এবং হলুদের মিশ্রণে আপনি আপনার ব্রণ দূর করতে পারেন। প্রথমে আপনাকে পাকা পেঁপে এবং হলুদের গুড়া মিশিয়ে নিতে হবে আপনি চাইলে এখানে লেবুর রস মিশাতে পারেন। তারপর এই তিনটি মিশ্রণ আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন আপনার ত্বক থেকে ব্রণ দূর হতে শুরু করেছে।

চন্দন এবং হলুদের ব্যবহারঃ চন্দন একটি অনেক দামি কাঠ যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন উপকারে আসে। চন্দন কাঠ সচরাচর বাংলাদেশে পাওয়া যায় না তাই এটির দাম অনেক বেশি। চন্দন ও হলুদের ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনাকে চন্দনটি মিহি করে নিতে হবে এবং হলুদের গুড়ার সাথে মিশিয়ে নিয়ে মুখে ৩০ মিনিটের মত লাগিয়ে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পর তা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল তৈরি

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল তৈরি করা সম্পর্কে এই পর্যায়ে আমরা জানবো। আমরা পার্লার গিয়ে ফেসিয়াল করার জন্য হাজার হাজার টাকা ফুরিয়ে ফেলি কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল তৈরি করা যায় তা আমরা হয়তো সকলেই জানি না। যা আমাদের ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না বরং উপকারী বেশি করে। তাহলে আসুন জেনে নিই কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল তৈরি করা যায়।

দুধ, মধু এবং লেবু দিয়ে ফেসিয়ালঃ মধু, দুধ এবং লেবু দিয়ে ফ ফেসিয়াল তৈরি করার জন্য আরো কিছু উপাদান প্রয়োজন তা হল চালের গুড়া সিডস এবং আপনি যদি এখানে পাকা পেঁপে ব্যবহার করতে চান তাহলে আরো ভালো হয়। আপনি প্রথমে এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ দুধ, পরিমাণ মতো সিডস, চালের গুড়া এবং লেবু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
এরপর এই এই মিশ্রণকে পেস্ট এর মতো তৈরি করে নিন এবং এই পেস্টটি তৈরি হয়ে গেলে দুধের উপর ভিজিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে এটি হালকা ফ্রিজের ভেতরে রাখতে পারেন। পেস্টটি একটু গাড়ো হয়ে গেলে আপনি তা মুখে লাগিয়ে দিন এবং এক ঘন্টার মত মুখে লাগিয়ে রেখে তারা তুলে ফেলে আপনার ব্যবহৃত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

আমরা এতক্ষন ঘরোয়া উপায়ে মধু দুধ এবং লেবু দিয়ে ফেসিয়াল তৈরি করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এখন আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন সম্পর্কে জানব।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন সম্পর্কে আমরা এই পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। চুল আমাদের সৌন্দর্য প্রকাশের প্রধান বাহক কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমাদের সেই চুল নষ্ট হয়ে যায় এবং তা ঝরে যায় সেইসাথে অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। আমাদের এই চুল পড়ে যাওয়া রোধ করতে আমরা বিভিন্ন কসমেটিক পণ্যের ব্যবহার করে থাকি।
ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ফর্সা-হওয়ার-উপায় (2)
কিন্তু সেসব কসমেটিক পণ্য আমাদের চুলের উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকটাই বেশি করে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে ঘরোয়া উপাইয়ে চুলের যত্ন নেওয়া যায়। তাহলে আসুন আমরা জেনে নেয় ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন।

নিম পাতা ও মেথি দিয়েঃ আমাদের চুলের জন্য মেথি অনেক উপকার এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। নিম পাতা ও মেথির সাহায্যে আমাদের চুল হয় মজবুত এবং ঘন কালো। আমরা যদি নিম পাতা ও নিচে দিয়ে চলে যত্ন নিতে চায় তাহলে প্রথমে আমাদের নিম পাতা ও মেথিকে ভালোভাবে পিছিয়ে নিয়ে একই সাথে মিশ্রণ করুন।

এরপর মাথায় ৩০ মিনিটের মত মেখে রেখে দিতে হবে। এভাবে নির্দিষ্ট সময়ের পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করার ফলে দেখবেন আপনার চুল মোটা এবং ঘন শুরু করেছে এবং সেই সাথে চুলের কালো কালারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

নারিকেল তেল ও মধুর ব্যবহারঃ নারিকেল তেল আমাদের চুলের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে এবং সেই সাথে মধু আমাদের চুল মোটা ও ঘন করে। সেই সাথে নারিকেল তেল ও মধুর মিশ্রণের ফলে আমাদের চুলকে আরো বেশি মজবুত ও ঘন করে তোলে।

 নারিকেল তেল ও মধুর উপকারিতা পেতে প্রথমেই আপনাকে করতে হবে এক টেবিল চামচ মধু ও বাজার থেকে আনা যেকোনো কোম্পানির নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। এই তেলটিকে আপনি একটি বোতলে রেখে দিন এবং এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চলে ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার চুল কালো হবে এবং সেইসাথে চুলের গোড়া হবে মজবুত।

ডিমের ব্যবহার ও ভিটামিন ই ক্যাপসুলঃ চুলের  জন্য ডিম ব্যাপক উপকারী। আপনি চাইলে আপনার মাথায় চুলের পরিমাণ অনুযায়ী কাঁচা ডিম ভেঙ্গে চুলে মাখতে পারেন। এতেও কোন সমস্যা হবে না বরং চুলের উপকারিতা বেশি হবে। তাছাড়া ডিমের সাথে আরও একটি উপাদান দিয়ে চলে যত্ন নেওয়া যায়।

সেটি হল ডিমের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার। আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের জন্য খাওয়া যেরকম উপকারী চুলের ব্যবহারও ততটাই উপকারী। ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের চুলের গোড়াকে করে মজবুত এবং চুলের ত্বককে রাখে সতেজ। ডিম ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল একই সাথে ব্যবহারের জন্য প্রথমে একটি ডিম ভেঙ্গে তার সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। 

এই তৈরি পোস্টটি আপনি আপনার চুলে মেখে ৩০ মিনিট পর আপনার ব্যবহার কৃত শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করার ফলে আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার চুল আগের চেয়ে বেশি কালো এবং ঘন হতে শুরু করেছে। সেই সাথে আপনার চুল পড়ে অনেকটাই কমে যেতে শুরু করেছে।

এতক্ষণ আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন সম্পর্কে তিনটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।আশা করছি যে আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা আলোচনা করব গরমে ত্বকের যত্ন ঘরোয়া উপায়।

গরমে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

গরমের ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা এই টপিকে বিস্তারিত আলোচনা করব। গরমের সময় আমাদের ত্বকের অনেক সমস্যা হতে থাকে। অতিরিক্ত ঘামের ফলে আমাদের ত্বকের আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। সেইসাথে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হওয়া শুরু করে যার ফলে আমাদের মুখে অনেক ব্রণ দেখা যায় আর সেই ব্রণের কারণেই কালো দাগ দেখাতে শুরু করে।

গরমের সময় সূর্যের আলো বেশি থাকে। সেই সূর্যে আলো কারণে আমাদের ত্বকের প্রচুর ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে থাকে। সেই ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত থাকতে আমাদের এন্টিব্যাকটিক ও এন্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। তাহলে তাহলে আসুন আমরা জানি গরমে ত্বকে এর যত্নে ঘরোয়া উপায়।
  • গরমে ত্বকের যত্নে প্রথমে আমাদের রোদে যাওয়ার আগে প্রোটেকশন নিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ আমরা যতই তত যত্ন নিই না কেন যদি সূর্যের আলো পড়ে তাহলে আমাদের ত্বকে ব্যক্তির আক্রমণ করবেই।
  • দ্বিতীয়ত আমাদের গরমের সময় অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার থেকে বঞ্চিত থাকায় উত্তম। কারণের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। যা পরবর্তীতে আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে থাকে।
  • গরমে ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভালো উপায় হবে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করা। আপনারা চাইলে শসা কেটে আপনাদের ফেসে অথবা ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে আমাদের ত্বকের আদ্রতা নষ্ট হবে না এবং তখন মসৃণ থাকবে।
  • গরমে অতিরিক্ত রোদের কারণে আমাদের ত্বকের কোষ গুলো মরে যায়। সেই মৃত কোষগুলোকে ফেরত আনতে চালের গুড়া এবং মধু খুব ভালো কাজ করে থাকে। তাই অতিরিক্ত গরমে চালের গুড়া ও মধু একত্রে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখলে আমাদের ত্বকের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না।
এতক্ষণ আমরা গরমে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করলাম। আশা করছি আপনারা এইটুকু তথ্যের খুব বড় আকারের উপকারিতা পাবেন। এখন আমরা আলোচনা করব তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া উপায়।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা এই পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ত্বকের তৈলাক্ততা ভাব এটি কম বেশি সকলের হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে থাকে এটি গ্রীষ্মকালে বা গরমের সময়। কারণ তখন সূর্যের আলো প্রকোপ বেশি থাকে যার কারণে আমাদের সেই আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ঘাম হয় ফলে আমাদের ত্বকের তৈলাক্ততা ভাব বেশি হয়।
তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-ঘরোয়া-উপায়
আমাদের ত্বকে ভাব বেশি কারণে আমাদের মুখে অনেক ব্রণের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় যার ফলে আমাদের মুখে অনেক দাগ এবং ব্ল্যাকহেডস দেখা যায়। আমরা তৈলাক্ততা ভাব দূর করার জন্য অনেক কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করে থাকি। যা আমাদের ত্বকের আদ্রতা আরো বেশি নষ্ট করে ফেলে ফলে উপকারের চেয়ে অপকারবেশি হয়। তাহলে আসুন এখন আমরা জানি ঘরোয়া উপায় তৈলাক্ততা দূরীকরণ।

কাঁচা দুধ ও মধু ব্যবহারঃ কাঁচা দুধ আমাদের শরীরের পক্ষে যেমন উপকারী তেমন আমাদের ত্বকের জন্যও উপকারী। মধু ও কাঁচা দুধ এর একই সাথে উপকারিতা অনেক বেশি। প্রথমে কাঁচা দুধ ভালোভাবে ছেঁকে নিন এবং সেই দুধের সাথে মধু মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রিত পদার্থটি ২০ মিনিটের মত মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর পানি দিয়ে ফেলুন। 
অলিভ অয়েলের ব্যবহারঃ অলিভ অয়েল একটি প্রতি প্রয়োজনীয় এবং উপকারী তেল। এটি জলপাই থেকে তৈরি হয় বলে একে অলিভ অয়েল বলা হয়। শুধু মুখে বা চুলে মাখা নয় এটি খাওয়াও যায়।আপনি চাইলে এই অলিভ অয়েলকে খালি আপনার মুখে মাখতে পারেন, এতে কোন ক্ষতি হবে না। এভাবে অলিভ অয়েল যদি আপনি আপনার ত্বকে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাখেন তাহলে আপনার ত্বকও তৈলাক্ততা ভাব থেকে কেটে যাবে।

পাকা পেঁপে ও লেবুর ব্যবহারঃ পাকা পেঁপে আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারী। পাকা পেঁপে সরাসরি বেটে নিয়ে আমাদের ত্বকে ব্যবহার করা যায় এতে কোন ক্ষতি হয় না বরং উপকারিতাও হয়। তাছাড়াও পাকা পেপে ও লেবুর মিশ্রণও ব্যাপক উপকারি আমাদের ত্বকের জন্য। প্রথমে আপনি পেঁপে ও লেবু একসাথে মিশিয়ে নিন তারপর আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন।

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

আমরা উপরে আলোচনা করেছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখে ব্রণ দূর করার উপায় কিন্তু এখন আমরা আলোচনা করব দূর করার উপায়। আমি হয়তো অনেকেই জানি না যে বরফ দিয়ে মুখে ব্রণ দূর করা যায়। তাহলে আসুন আমরা এই পর্যায়ে জেনে নিই বরফ দিয়ে মুখে ব্রণ দূর করার উপায়।
  • বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার জন্য আপনি ঠান্ডা বরফ দিয়ে মুখে মালিশ করতে পারেন ফলে আপনার মুখের ব্রণগুলো সেই নির্মিত শুরু করবে। কারণ ঠান্ডা বরফ আমাদের মুখের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেয়।
  • আপনি চাইলে কয়েকটি বরফকে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ের ভেতরে রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে ব্রণের উপর হালকা করে মালিশ করে দিতে পারেন এতে ব্রণের লালচে ও কালো দাগ নির্মূল হতে শুরু করে।
  • কয়েকটি বরফ এবং কিছু পরিমাণ দুধ একই সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ব্রণ নষ্ট হতে শুরু করবে।
আমরা এতক্ষণ বিস্তারিত আলোচনা করলাম বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়। আশা করছি আপনি এই বিষয় গুলো অতি সহজেই বুঝতে পারছেন।

আমাদের শেষ কথা

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি। আমরা সেই সাথে আরো আলোচনা করেছি আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে। আমরা আশা করছি যে আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনিও ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়।

আমরা যেহেতু এখানে আলোচনা করেছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় আপনি যদি পোস্ট অনুযায়ী আমাদের দেখানো পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে চান। তাহলে আমাদের মতামত থাকবে একবার অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন যদিও এটি গবেষণা করেই লিখা হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাজেডি আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url